”ঐতিহ্যবাহী গ্রাম “
লেখক-“গুলজার রহমান”
নওগাঁ জেলায় বাড়ি আমার খিরসীন-খান্দই গ্রামে বাস
আদিবাসী মুসলিম একসাথে মোরা গড়েছি আবাস।
আত্রায় যমুনার মাঝপথে স্নিগ্ধ
ঐতিহ্যবাহী আদর্শ খিরসীন গ্রাম
দেশের সর্বত্র রয়েছে যে গ্রামের
বাস্তবতায় এক অনন্য সুনাম।।
মসজিদ ঈদগা মক্তব খানকাহ
কিছু প্রাচিন থেকেই পাওয়া
বিবাদ বিচ্ছেদ তেমন ঘটনা ঘটেনি
সবে মিলেমিশে গান গাওয়া!!
গরু ও ছাগলে ভরা গোয়াল
পুকুর ভর্তি সুস্বাদু মাছ
দেশের সেরা আম ও ধান
আছে হরেক ফসলের চাষ!
চাল্লীশ পীরের মাজার আছে
চল্লিশ পীরের সমাহিত কবর
ধবংসাবশেষ গীর্জা মুন্দীর বিবির মাজার
কয়জন জানে সে খবর!!
হাসপাতাল ও কোমোনিটি সেন্টার
আছে দোকান পাট হাট-বাজার
চেম্বারে আছে চিকিৎসক ডাক্তার
এমন গ্রামটি মিলবেনা দেখো একবার!
পাশে গ্রাম গুলো দেয় খিরসীন গ্রামের পরিচয়
মিলে দিলে থাকে সেথা নেই পরাভয়
প্রাইমারী-হাইস্কুল মাঝে আছে পাকা সড়ক
কাজ কর্ম একসাথে নেই দিধা-সংশয়
ডক্টর ইন্জিনিয়ার উকিল
আছে চৌধুরী পরিবার
বরেন্য ব্যাক্তিত্ব কবি প্রফেসর আছে শিল্প-নাট্যকার ।
গোয়াল ভবা গরু আছে গোলাও মাঠ ভরা ধান
পুকুর ভরা মাছ আছে
আছে চৌধুরীদের মান।
খাজনা তোলা আর নেই
আছে দিনাজপুরের সর্বশেষ মহারানী ও তাহেরুন নেছার সম্ভার
জমিদার ডা.শেখ আব্দুল করিম চৌধূরীর ছিল
এখন আছে তার জমিদার পরিবার।