নতুন দাঁড় উপহার এক্সপ্রেসওয়ে

কালের সংবাদ ডেস্কঃ  কাওলায় টোল পরিশোধ করে প্রধানমন্ত্রী ফার্মগেট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন করেন ও উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশের মানুষ জানে অধিকার আদায় করতে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। ছয় ঋতুর দেশে আমরা তো দেখি- বর্ষা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, রৌদ্রোজ্জ্ব¡ল সময়। এমন ভিন্নতা দেখে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। নৌকা সারা জীবন উজান ঠেলে ঠেলে এগিয়ে গেছে। ঝড়-ঝঞ্ঝা পাড়ি দিয়ে আজকে নৌকা তীরে ঠেকে জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আত্মবিশ্বাস রেখে জনগণের কল্যাণে কাজ করলে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব, আমরা তা প্রমাণ করেছি।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে রাজধানীবাসী তথা দেশের জনগনের জন্য একটি উপহার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য নতুন মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে, বিশেষ করে বিমানবন্দর, কুড়িল, মহাখালী, ফার্মগেট, মগবাজার, কমলাপুর এলাকায় যানজট নিরসন করবে। মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে না, দ্রুত উন্নতি হবে, কাজের সুযোগ তৈরি হবে।

ফার্মগেট পৌঁছাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় লাগে ১৪ মিনিট। বিকাল ৩টা ৪৪ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে দক্ষিণ কাওলা প্রান্ত থেকে ফার্মগেটের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর রওনা হয়। বিকাল ৩টা ৫৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফার্মগেট প্রান্তে এসে পৌঁছান।

উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়াল সড়ক।

পুরো উড়াল সড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা (র‌্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে। র‌্যাম্পসহ উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। উড়াল সড়কে ১১টি টোল প্লাজা থাকছে। পুরো পথ চালু হলে তা যানবাহনে পাড়ি দিতে ২০ মিনিট লাগবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কাওলা থেকে তেজগাঁও অংশ পাড়ি দিতে লাগবে ১২ মিনিট।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.