কালাইয়ে বিজয়ের মাসে লাল-সবুজের পতাকা বিক্রির ধুম

মোঃ মোকাররম হোসাইন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি: দেশজুড়ে এখন বিজয় উল্লাস। মহান বিজয় দিবস পালনের অপেক্ষায় বাঙালি জাতি। বহু লড়াই-সংগ্রাম আর রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশ। তারিই প্রতিচ্ছবি বাঙালির লাল-সবুজের পাতাকা।সেই পাতাকা পায়ে হেঁটে হেঁটে বিক্রি করছেন হেমায়েত মাতবর (৫৫)।
গত কয়েকদিন ধরেই জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পাতাকা বিক্রি করতে দেখাগেছে তাকে। তার সাথে কথা হয় কালাই বাসস্ট্যান্ডে। তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাস আসলে আর ঘরে বসে থাকতে পারিনা। বিক্রি যাই হোক বাঙালি জাতি হিসেবে পাতাকা বিক্রি আমার গৌরব। মানুষের হাতে বাঙালি জাতির গৌরব লাল-সবুজের পাতাকা তুলে দিতে পারলেই যেন তৃপ্তি পাই। তাই ডিসেম্বর মাস এলেই ফরিদপুর জেলা থেকে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ফেরিকরে ঘুরে ঘুরে পাতাকা বিক্রি করি। এতে দৈনিক যা লাভ হয় তা দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সংসার চলে।
তিনি আরো বলেন,  আমি শুধু লাভের জন্য নয়, দেশ প্রেম থেকেই পতাকা বিক্রয় করি। বিজয়ের মাস আসলেই আমি অন্য কাজ কর্ম ছেড়ে দিয়ে ঢাকা থেকে বিভিন্ন মাপের পতাকা কিনে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দেয় জাতীয় পতাকা। তবে বীগত বছরগুলির চেয়ে এখন বেচা বিক্রি একটু কম হচ্ছে। ১লা ডিসেম্বর থেকে শুরু ১৬ ডিসেম্বরে দিন পর্যন্ত বিক্রি করি।
হেমায়েত মাতবর ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার শ্রীবরদি গ্রামের বাসিন্দা।
ডিসেম্বর এলেই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় পতাকা কেনার ধুম পরে । অন্য মাসগুলোতে না হলেও বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসের মাস এলেই ফেরি করে পতাকা বিক্রি শুরু হয়। ৮\১০ ফুট লম্বা বাঁশে বেঁধে কাঁধে নিয়ে বিক্রি করছে বিভিন্ন আকারের পতাকা । দেখাযায়, পতাকা, মাথায় ও হাতে বাঁধার ব্যাজ ও বিজয় দিবসের অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে ফেরি করে ঘুরছে বিক্রেতা। এই বিজয় নিশান কাঁধে নিয়ে ঘুরে-ঘুরে বিক্রি করতে কার না ভালো লাগে । ফেরিওয়ালা আকার ভেদে ৬ ফুটের একটি পতাকা বিক্রি করছেন ১৫০ টাকা, ৫ ফুট ১০০ টাকা, সাড়ে ৩ ফুট ৮০ টাকা, আড়াই ফুট ৫০ টাকা, দেড় ফুট ৩০ টাকা আর ১ ফুট ২০ টাকা এবং ফিতা আর ব্যান্ড বিক্রি করছেন ১০ টাকা দরে।
জাতীয় পতাকা কাঁধে বিজয়ের মাসকে স্মরণ করে দিতে দেশের সকল শ্রেণীপেশার মানুষের হাতে লাল-সবুজের পতাকা পৌঁছে দিতে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটছে ফেরিওয়ালা হেমায়েত মাতবর। কালাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাটে-বাজার স্কুল ও কলেজের সামনে পতাকা বিক্রি করেন তিনি। বিজয় মাস আসলেই দেখা যায়, দেশের সবজায়গায় সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িতেও দেখা যাবে বিজয় নিশান বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.