কালের সংবাদ আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ হেনরি কিসিঞ্জার আর নেই। ১০০ বছর বয়সে তিনি কানেকটিকাটে নিজ বাড়িতে বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের সাবেক প্রার্থী মিট রমনি। হেনরি কিসিঞ্জার সম্পর্কে জর্জ বুশ এক বিবৃতিতে বলেছেন, পররাষ্ট্র বিষয়ে নির্ভরযোগ্য এবং স্বতন্ত্র অন্যতম এক কণ্ঠস্বরকে হারালো যুক্তরাষ্ট্র।
তরুণ বয়সে নাৎসিদের কবল থেকে একটি ইহুদি পরিবার নিয়ে পালিয়েছিলেন। তারপর তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে। তারপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। একজন সাবেক শরণার্থী থেকে তাকে এই পদে নিয়োগ করা হয়।
তার পুরোটা জীবনজুড়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি, প্রজ্ঞা এবং স্বাধীনতার প্রতি ভালোবাসা।
প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং জেরাল্ড ফোর্ড প্রশাসনে যথাক্রমে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কিসিঞ্জারকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানের পক্ষ নেয়ার কারণে ব্যাপক সমালোচিত। দুই প্রেসিডেন্টের অধীনে তিনি দায়িত্ব পালনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অদম্য চিহ্ন রেখে গেছেন। শতবর্ষ বয়সে এসেও তিনি ছিলেন সক্রিয়। যোগ দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের বিভিন্ন মিটিংয়ে। নেতৃত্বের স্টাইল নিয়ে প্রকাশ করেছেন বই। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির বিষয়ে সিনেট কমিটিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ বছর জুলাই মাসে তিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আকস্মিক বেইজিং সফর করেন। ১৯৭০-এর দশকে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের অধীনে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৪ সালে পদত্যাগ করেন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান ‘আর্কিটেক্ট’- কিসিঞ্জারের প্রভাব কমতে শুরু করে। তা সত্ত্বেও তিনি প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের প্রশাসনের অধীনে একটি কূটনৈতিক শক্তি হিসেবে তার প্রভাব অব্যাহত রাখেন।