মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, শার্শার লক্ষনপুর এর ভোটাররা শান্তি প্রিয় মানুষ। এরা শান্তি চায় । আর জুলুম অত্যাচার করে যাদের কন্ঠরোধ করতে চান ইতিহাস তাই বলে নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে স্্েরাতের মত সব ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। এটা বাঙালীর ইতিহাস। লড়াই সংগ্রাম এবং আত্নমর্যদার ইতিহাস। এই শার্শায় একটি ইতিহাস লেখা হবে স্বস্তি, শান্তি উন্নয়ন আর স্মার্ট শার্শার ইতিহাস। সেই ইতিহাস থেকে লক্ষনপুর বাসিও দুরে থাকবে না।লক্ষনপুর এর কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। আমাদের গনসংযোগের সাথে একটি ছেলের বাড়ি যেয়ে কিছু দুবৃত্ত তার স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে এসেছে তাকে দেখে নিবে। আরে তোরা কি দেখে নিবি। যে নারীকে হুমকি ধামকি দিয়েছিস সেই নারী তৈরী হয়ে আছে তোদের ঝাটা পিটা করবে সে দিন আর বেশী দুরে নয়। কারন এবারের প্রশাসন কোন ব্যক্তি বা কোন প্রতিকের নয়। এবারের প্রশাসন হচ্ছে ভোটারের প্রশাসন। কথাগুলো বললেন প্রধান অতিথি হিসাবে দ্বাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে লক্ষনপুর ইউনিয়নের লক্ষনপুর সরকারী প্রাথমিক স্কুলে পথ সভায় আশরাফুল আলম লিটন।
শনিবার বিকাল ৪ টার সময় বেনাপোল শার্শার সকল স্তরের মানুষের আয়োজনে লক্ষনপুর ইউনিয়নে পথ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম।
প্রধান অতিথি আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আপনারা সকলে ভোটের মাঠে যাবেন। কারো কোন প্রভাবকে ভয়ভিতি পাবেন না। যার অপকর্মর জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন বিদ্ধ হবেন যার কারনে তিনি ছোট হবেন তাকে এবারের প্রশাসন পাছার ছাল তুলে দিবে। তাই ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবেন যাকে খুশি তাকে ভোট দিবেন। কেউ বাধা দিলে সাথে সাথে প্রশাসনকে ফোন দিবেন। সকল ভোটার প্রশাসনের ফোন নাম্বার রাখবেন। আমাদের নজর থাকেব সন্ত্রাসীদের দিকে। যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে বিশেষ করে লক্ষনপুর আমরা সেই দিকে খেয়াল করব। কারন এখানকার কিছু সন্ত্রাসী ভোটারদের ভয় ভিতি দেখাচ্ছে।
তিনি বলেন যদি ভোটারদের ভয় পাবে তবে কেন নির্বাচনে এসেছ। কারন তোমরা জুলমবাজ, অত্যাচারি, লুন্ঠনবাজ। ভোটারদের বাড়ি যাও তাদের ভালবাসা দিয়ে সব অর্জন করে নাও। ভয় দেখিও না । কারন তোমার টাকায় তাদের বাজার হয় না। তোমরা তাদের পাওনা থেকে বঞ্চিত করে আজ বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের ভোটের জন্য মাঠে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেও। এবার ওই অশুভ শক্তি নিপাত যাবে। যারা মানুষের আনন্দ কেড়ে নেয়। যারা মানুষকে সব সময় যন্ত্রনা দেয়। তাই এসব অশুভ শক্তিকে শার্শার মানুষ লক্ষনপুরের মানুষ ছুড়ে ফেলে দিবে। আজ ১৫ টি বছর শার্শার মানুষ যে যন্ত্রনা ভোগ করছে তা আজ তুমি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছ। আজ ভোটের জন্য কাঁদছ। তুমি যদি এত ভাল কাজ করবে তাহলে বিগত ১৫ টি বছর তুমি কি অর্জন করেছে? মানুষ তোমার ধোকাবাজি বুঝে গেছে শার্শার মানুষ। তাই সাবধান ভাল হয়ে যান আর শার্শার মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করবে না। আপনি সংসদে যান না। আজ ১৫ টি বছর আপনি সংসদের যান নাই। এটা শার্শার মানুষ জানে। যার মানুষের প্রতি দায়িত্ব ভালবাসা নাই মায়া নাই তার ভোটে দাঁড়ানোর প্রয়োজন কি? আপানি জানেন ভোটাররা হয় সন্মানের । ভোটারা রাষ্ট্রের সব কিছু বদলায়। এই ভোটাররা সরকার পরিবর্তন করে। এই ভোটার আইন প্রনেতা তৈরী করে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা এই ভোটারদের। তাই ভোটারদের মাঠে যেতে নিশেধ করেন এত স্পর্ধা কোথায় পান? আজ তুমি পোষ্টার ছিড়ছ এটা তুমি মনে রেখ। এই পোষ্টার তোমাকে দিয়ে শার্শার মানুষ লাগিয়ে নিবে। সেই দিন আসছে শার্শায়। ভিজি এফ কার্ড কেড়ে নিতে চাও। এই কার্ড কি তোমার দেওয়া। আজ শার্শায় দুটি শক্তি একসাথে চলছে । একটি ভালবাসার আর একটি টাকার শক্তি। টাকার চেয়ে ভালবাসার শক্তি অনেক বেশী । যার স্থায়িত্ব থাকে চিরদিন। যে টাকা দেয় সে ভোটারদের টাকা দিয়ে কিনতে চায়। এসব টাকায় বিক্রি হবে না। তাহলে কোন দিন ওই লোকের সামনে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক একে এম ফজলুল হক বকুল, দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, নিজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল, নিজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শাহাজাহান কবির দিলা, আওয়ামী নেতা বদিয়ার রহমান তরফদার, ইউনুছ আলী উপজেলা যুবলীগ এর আহবায়ক শহিদুজ্জামান বিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকাত আলী, ডিহি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবাইদুর রহমান, আওয়ামী নেতা মিজানুর রহমান প্রমুখ।