যারা ভোটারদের ভয় পায় তাদের ভোটে দাঁড়ানোর দরকার কি? কোন ভাল বাবা মায়ের সন্তান কাউকে অপমান করতে পারে না, কারো বাড়িতে বোমা মারতে পারে না–আশরাফুল আলম লিটন

মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোর জেলা আওয়ামীলগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, আজ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ করে বিগত ১৫ টি বছরে কেন আপনারা অপদস্ত অপমানিত হয়েছেন? এই সময়টা তো ছিল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সময়। আর সেই সময় আমরা নির্যাতিত অপমানিত হয়েছি। আমরা সকলে একটি লোকটিকে ২০০৮ সালে এনে শার্শায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচিত করেছিলাম। আর সেই লোকের  আক্রোশে আমরা অপমানিত হয়েছি। আজ আমি মনোনায়ন চেয়ে যখন মনোনায়ন পায়নি তখন আমার বাড়ি সহ আমার আত্নীয় স্বজন এর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়েছে। আপনারা বলেন, কোন ভাল বাবা মার সন্তানরা কি কোন বাড়িতে বোমা মারে। কোন ভাল বাবা মায়ের সন্তানকি কাউকে  অসন্মানিত করে। এরা আমার বাড়ি সহ বেনাপোলে অনেক জায়গায় বোমা ও ইট মেরে আঘাত করে। এ কি কোন সুস্থ চিন্তা। যারা দমন নিপিড়নের বিশ্বাসী তারাই এসব কাজ করে । আর যারা অর্জনে বিশ্বাসী তারা মানুষকে ভালবেসে মায়া দিয়ে অর্জন করে সার্ভিস দিয়ে আপ্যায়ন দিয়ে অর্জন করে। কথাগুলো দ্বাদশ নির্বাচনী পথ সভায় শার্শার ডিহি ইউনিয়নে পাকশীবাজারে প্রধান অতিথি হিসাবে বললেন আশরাফুল আলম লিটন।

বৃহস্পতিবার বিকাল  সাড়ে ৪টার সময় শার্শার সর্বস্তরের মানুষের আয়োজনে ডিহি ইউনিয়নের পাকশি বাজারে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা শার্শা উপজেলার বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মিন্নুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আশরাফুল আলম লিটন বলেন, ৭ তারিখের নির্বাচন আপনারা ভোট দিবেন। এর আগে আপনারা  ভোট দিয়ে যাকে সংসদে পাঠিয়েছেন সে কি সংসদে যেয়ে আপনারাদের কথা বলে?  সে কি আপনাদের উন্নয়নের  কথা বলে? তাহলে কেন তাকে আপনারা তাকে ভোট দিবেন? আপনাদের পাওনা আপনাদের আদায় করে নিতে হবে। তাকে সংসদ সদস্য  বানিয়ে  সে যদি আমাদের উন্নয়নের কথা না বলে, এই ভুমির কথা যদি না বলে তাকে কেন বার বার সংসদ সদস্য বানাতে হবে। কারন সে সংসদ সদস্য হয়েছে তার লাভের জন্য।

তিনি বলেন,শার্শার হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রীষ্টান আজ ঐক্যবদ্ধ। আগামি ৭ তারিখে একটি ইতিহাস লেখা হবে। সে ইতিহাস হবে পরিবর্তনের ইতিহাস। সে ইতিহাস হবে আপনাদের পাওনা আদায়ের ইতিহাস। আর ইতিহাস লিখবে শার্শার মা মাটি মানুষ, আমার মায়েরা বাবারা বোনেরা ও ভাইরা। আজ ডিহি ইউনিয়ন ঘুরে দেখলাম উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার সরকারের অর্থের কোন অভাব নেই। কিন্তু এখানে ঘুরে দেখা গেছে রাস্তা ঘাটের বেহাল অবস্থা। আজ যিনি ২০০৮ সাল থেকে এমপি আমিও একই সরকারের সময় ২০১১ সাল থেকে বেনাপোল পৌর সভার মেয়র। তাহলে আজ শার্শার এই দুরাবস্থা কেন?  আমি বেনাপোলের এক ইঞ্চি জায়গাও কাঁচা রাখি নাই, যে আমার পৌরবাসি কাঁচা রাস্তা দিয়ে হাটবে।  আর শার্শার রাস্তা এত খারাপ যে সেখানে গাড়ি নিয়ে আসা যায় না। গ্রামের জনপদের  রাস্তা না থাকায় কাদা পাড়িয়ে বাজারে আসতে হয়।  আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা করছি যদি আপনারা আগামি ৭তারিখে আমাকে ট্রাক প্রতিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন তাহলে আপনাদের এসব রাস্তা ৬ মাসের মধ্যে আমার কাছ থেকে  পাকা রাস্তা বুঝে নিবেন। আমি উন্নয়নে বিশ্বাসি। আমি কথায় বিশ্বাসী নই। আপনারা জানেন যাদের এই শার্শায় উন্নয়নের ৪০ থেকে ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই সভ্য শালিন মানুষকে অসন্মানিত করে তাড়িয়ে দিয়ে ইতর কিছিমের মানুষকে জায়গা করে দিয়ে শার্শায় বাহিনী গড়ে তুলেছে। আজ এসব মানুষগুলো প্রতিটি জায়গা হুংকার দিয়ে ত্রাসের শার্শা করে রেখেছে। তাই আপনাদের বলতে চাই  আগামি ৭ তারিখে শার্শার ২,৯৪,০০০ হাজার ভোটার নতুন ইতিহাস রচনা করবে। এই ইতিহাস লেখা হবে কোন টাকার বিনিময়ে না, কোন রক্তচক্ষু দিয়ে না কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দিয়ে না । এ ইতিহাস লেখা হবে ভালবাসা দিয়ে মায়া দিয়ে মমতা দিয়ে ।আজ তরুন প্রজন্ম নারী ভোটারা সকলে ঐক্যবদ্ধ। তারা একটি ইতিহাস লিখবে স্বস্তি শান্তি ও উন্নয়নের ইতিহাস।  আপনাদের জানেন অর্থের শক্তির চেয়ে ভালবাসার শক্তি অনেক বেশী এবং স্থায়ীত্ব বেশী। কারন অর্থ দিয়ে  জীবন অর্থ বহ হয় না। জীনব অর্থ বহ হয় একমাত্র ভাল কাজ দিয়ে, আর আমরা সেই ভাল কাজ করতে চাই।

আজ যারা গর্জন দিচ্ছে আপনারা ভোটের মাঠে যাবেন না। ভোটের মাঠে গেলে আমাদের দেখায় দেখায় ভোট দিতে হবে। কেন দেখায় দেখায় ভোট দিতে হবে। যারা ভোটারদের বিশ্বাস করে না তাদের ভোটে দাঁড়ানোর দরকার কি? আপনারা কোন রক্ত চক্ষুকে ভয় পাবেন না। কারন ওরা আপনাদের বাজার করে দেয় না। ওদের টাকায় আপনি চলেন না। একটি ্ইউনিয়নে বড় জোর ১৫ জন এরকম ইতর কিছিমের মানুষ আছে তাদের একবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাড়া দেন দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে। আপানাকে আর জোর করছে না ।

ডিহির পথসভায় আজকের সভাপতি যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা বার বার শার্শা উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মিন্নু বলেন, শার্শার মানুষ আজ জেগে উঠেছে। তারা এত দিন ভাল জায়গা পায়নি ভোট প্রদানের। এবার পেয়েছে আমার স্নেহ ভাজন আশরাফুল আলম লিটনকে। তার ট্রাক প্রতিকে ভোট দিয়ে শার্শার জিম্মি দশা থেকে মানুষকে মুক্ত করার।

এর আগে সকাল ৯ টা থেকে ডিহি ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে ও বাজারে আশরাফুল আলম লিটন নির্বাচনী  গনসংযোগ করেন।

যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আব্দুল মান্নান মিন্নু, শার্শা উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক একে এম ফজলুল হক বকুল।, বর্তমান চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন, নিজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল, পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার, ডিহি ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন আলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবাইদুর রহমান, বন ও পরিবেস বিষয়ক সম্পাদক শেখ সারোয়ার, আওয়ামী নেতা মিজানুর রহমান কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, আওয়ামী নেতা আশরাফুল আলম বাটুল, নিজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীগের সহ সভাপতি শাহজাহান কবির দিলা, বীর মুক্তি যোদ্ধা শওকত আলী, ও সাবেক ছাত্র নেতা  রুহুল কুদ্দুস ভুইয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যশোর জেলা আাওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের কার্যকরি সদস্য জাকির হোসেন আলম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.