রাকিব আল হাসান: আকাশ সংস্কৃতির কালো থাবা থেকে দেশীয় সংস্কৃতিকে রক্ষাকরতে এবং পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব বাড়াতে বরাবরেরমতো এবারো জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠলসাত দিনব্যাপী চাষীরহাট উন্নয়ন মেলার। শুক্রবার বিকেল৩টায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী চাষীরহাট নুরুল হকউচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মেলার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন সোনাইমুড়ীর কৃতী সন্তান, চাষীরহাট ইউনিয়নের উন্নয়নের রূপকার চাষীরহাট উন্নয়নপ্রকল্পের প্রধান উপদেষ্টা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, উন্নয়নের বিকল্প নেই।উন্নতি–প্রগতি আল্লাহ পছন্দ করেন। দারিদ্র্য, বেকারত্ব আল্লাহরকাছে অপছন্দনীয়। সবার মধ্যে সমবায়ভিত্তিক উন্নয়নপরিকল্পনা ও অগ্রযাত্রার মানসিকতা সৃষ্টি করতেই এইআয়োজন।
তিনি আরো বলেন, গ্রামের কৃষক–শ্রমিক আপামর জনতাসারাদিন কাজ করে মেলায় এসে পিঠা–পায়েশ খাবে,প্রয়োজনীয় জিনিস কিনবে, পরস্পরের সাথে দেখা হবে, কথাহবে, একটা মেলবন্ধন, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য গড়ে উঠবে। এইঐক্যচেতনা সৃষ্টি করাই মেলার অন্যতম একটি উদ্দেশ্য। এইগ্রামকে কিছুদিন আগেও বলা হতো অজোপাড়াগাঁ। এই গ্রামকেএকটি স্মার্ট গ্রাম হিসেবে দেশ ও বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করারপ্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
নোয়াখালীর প্রবেশদ্বারে চাষীরহাটে আয়োজিত এই উন্নয়নমেলা ইতোমধ্যেই চাষীরহাটের সর্বসাধারণের প্রাণের মেলায়পরিণত হয়েছে। প্রথম দিনই দেখা গেছে উপচে পড়া ভীড়।চাষীরহাট ইউনিয়নসহ দূর–দূরান্ত থেকেও বহু দর্শনার্থী এসেভীড় করে মেলায়। নানা ধরনের পণ্যে সুসজ্জিত ৬০টি স্টলস্থান পেয়েছে এবারের মেলায়। মেলার প্রধান আকর্ষণ‘চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্প’ এর উৎপাদিত নিজস্ব পণ্য। এরপাশাপাশি মেলায় স্থান পেয়েছে যশোরের বিখ্যাত খেজুরেরগুড়, চাঁদপুরের ইলিশ, লক্ষ্মীপুরের নারিকেল, সুপারি, টাঙ্গাইলের চমচম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বগুড়ার দই, পাবনারঘি, বরিশালের মুড়ি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কালাই রুটিসহ দেশেরবিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ও বিক্ষাত পণ্য সামগ্রী।
মেলা কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘প্রশাসন ও নিজস্ব শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীদের সমন্বয়ে গঠিত একদল সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করাহয়েছে। উপরন্তু অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুরোমেলা এলাকা জুড়ে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।’
মেলার উদ্যোক্তা চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মহি উদ্দীন বলেন, এটা মূলত চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পেরপ্রদর্শনী মেলা। গতবছর আমরা তিনদিনব্যাপী মেলাকরেছিলাম। কিন্তু জনসাধারণের ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ওচাহিদার কথা বিবেচনা করে এবারের মেলাটি আমরাসপ্তাহব্যাপী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শারমিন সুলতানা চৈতী, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক, ঢাকা বিভাগ, হেযবুত তওহীদ।