কালের সংবাদ ডেক্স ঃ দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) এভারকেয়ার হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ মতিয়া চৌধুরীর মারা যাওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন।
আমরা সব ধরনের চেষ্টা করেছি। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত মতিয়া চৌধুরীকে সকালে হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। এরপরই ইসিজি করে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করি।
১৯৪২ সালের ৩০শে জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন মতিয়া চৌধুরী। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ই জুন সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
মতিয়া চৌধুরী ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হন।
১৯৬০–এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন।
১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন।
১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন।
১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের ১ নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে পর জাতীয় সংসদ বিলুপ্তের মাধ্যমে সংসদ সদস্য পদ বিলুপ্ত হয়।