অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের আশার আলো মাগুরার সাবুর আলী সাগর

মাগুরা প্রতিনিধি, খন্দকার নজরুল ইসলাম মিলন: মানুষ প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রস্তর খন্ড ডিঙ্গিয়ে অদ্যাবধি স্বীয় মেধা মনন দ্বারা নিজেকে আজকের এ স্মার্ট স্বপ্নের সভ্যতায় সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে অত্যন্ত নিপুনভাবে। আর এই যৌবনের কর্মময় গতি এক সময় শ্লথ হয়ে সমাজের ভাঁজে আটকা পড়ে ঢেকে যায় নিয়তির এ হেলা খেলায়। দেখতে সমাজের এক অবহেলিত বোঝাময় হয়ে ঢেকে পড়ে থাকা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক গণ। যে শিক্ষকরা সমাজের এক সময় শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার আলো জ্বেলে জাতিকে সত্য পথের পথ দেখিয়েছেনে তারাই আজ খেলায় ঢাকা পড়ে গেছে। আর এসব জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের দৈন্য দুর্দশা দেখে প্রাণ কেঁদে উঠল মাগুরার এক যুবকের। একটি সাদামাটা সহজ সরল পরিবারের জন্ম নেওয়া মোঃ সাবুর আলী সাগর নামের ছেলেটি প্রথম অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখে। সেই স্বপ্ন থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে চলো এক সাথে বাঁচি নামে একটি ফেইজ বুক পেজ খুলেন। আজ সেই পেজটি দেশের কালের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সমানভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দূর দূরান্ত থেকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের সকল পেশার মানুষ কর্মযজ্ঞের মাঝে ভুলে ফেলে আসা তাদের প্রিয় শিক্ষকে এই পেজের মাধ্যমে একটু দেখেই প্রাণ কেঁদে ওঠে, ফিরে যেতে চাই শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত সেই পিতৃ সম শাসন আর বেতের বাড়ির নানান রঙিন স্মৃতির মাঝে। অনেকে বিদেশ থেকে তাদের প্রিয় শিক্ষককে কিছু সাহায্য সহযোগিতার কথা এই পেজের মাধ্যমে জানান। এ বিষয়ে কাটাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাবু শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন মোঃ সাবুর আলী সাগর ও চলো এক সাথে বাঁচি পেজের টিমকে মহতী কর্মে আজ মাগুরার প্রায় সমস্ত শিক্ষক একাত্মতা ঘোষণা করেছে, কেননা সবারই একদিন অবসরে যেতে হবে হয়তো তারই পেইজ এর মাধ্যমে অনেক না বলা কথা চোখের জলের ভাষায়ই প্রকাশ করতে পানবে। এ প্রসঙ্গে মাগুরা সরকারি স্কুলের শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞ বাবু ইন্দ্ৰনীল বিশ্বাস বলেন সাবুর আলী শাহ সাগরের এই পেজের মাধ্যমে দেখেছি কত শত শিক্ষকেনর বিগতস্মৃতি স্মরণ করে চোখের জলের ভাষায় করুন সুখের উল্লাস উদযাপন করতে।। বহুত এই পেইজের এডমিন ও উপস্থাপক মোঃ সাবুর আলী সাগর বলেন, আমি আমার ভাই তৌহিদ ও মামা শেখ সালাহউদ্দিন শিমুল অনেকটা শখের বসে এই পেইজটি খুলেছি, পরে দেখেছি সমাজের অবহেলিত শিক্ষকদের অন্তর্নিহিত করুন স্মৃতির আবেগ আপ্লুত এক চরম সত্যের বহিঃপ্রকাশ। আমি নিজে খুব কাছ থেকে দেখেছি আমার প্রিয় বিদ্যাপীঠ মাগুরা কাটাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জীবনচারণ, তিনি প্রত্যাশা করেন সমগ্র বাংলাদেশের শিক্ষকগণ যেন একটি সুখের সংবাদ শুনে ই একটি উন্নত সমৃদ্ধ জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখতে পারে সে প্রত্যাশায় থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.