অভিবাসন সংকট মোকাবিলায় ব্রিটেনের একগুঁয়েমি নীতি

আন্তর্জাতিক ডেক্স ঃ রায়হান আহমেদ তপাদার – লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক ঃ সাগর মহা সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানো মানুষের সংখ্যার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।চলতি বছরের প্রথম চার মাসে এই পথ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যত মানুষ ইউরোপে ঢুকেছে, তার মধ্যে ২১ শতাংশ বাংলাদেশি। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক অ্যামি পোপ-এর মতে, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘাতের কারণে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি সংখ্যায় অভিবাসী হয়েছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ অভিবাসী হচ্ছেন কি না, সেটা বোঝার জন্য তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণার প্রয়োজন।আইওএমের চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গত বছর বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর প্রভাব ও সংঘাতের কারণে নতুন বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেশি হয়েছে।এটা চমকে দেওয়ার মতো। লাখ লাখ মানুষ এখন জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাস করেন। কোন কোন উপাদান মানুষকে অভিবাসনে বাধ্য করে, তার যথাযথ চিত্র নেই। তাই সঠিক চিত্র বোঝার জন্য সরকার গুলোকে বিনিয়োগ করতে হবে।ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ পাড়ির প্রবণতা ২০১৫ সাল থেকে বেড়েছে। ২০২৩ সালে ৫ হাজার অভিবাসী মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে ৫২৪ জন মারা গেছেন ভূমধ্যসাগরে,যে পথ দিয়ে সাধারণত বাংলা দেশের মানুষেরা ইতালিতে যান। দুঃখ জনক হলেও সত্য, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশি মারা গেছেন ২৮৩ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ১৬ হাজার ২০০ নাগরিক এই পথ দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বাংলা দেশের নাগরিক ৩ হাজার ৪২৫ জন। দুই হাজার তেইশ সালে ভূমধ্যসাগর হয়ে অনিয়মিত অভিবাসনের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল বাংলাদেশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অপতথ্য অভিবাসনের ক্ষেত্রে কতটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে তা ভেবে দেখার বিষয়।

মানব পাচারকারীরা পরিশীলিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। কারণ, তারা সারা বিশ্বের পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখে। কাজেই অভিবাসী হতে আগ্রহী লোকজনের জন্য যে পর্যাপ্ত বৈধ পথ নেই, শুধু সেটিই নয়, অভিবাসনের বৈধ উপায় সম্পর্কে জানার বিষয়ে যথেষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করা হয় না। এমনকি বৈধ পথে অভিবাসনের জন্য তাঁদের কী ধরনের দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং এর উপায় কী সে সম্পর্কে তথ্য তাঁরা যথাযথভাবে জানতে পারেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমে মানব পাচারকারীদের প্রতিহত করতে হলে মানুষকে বৈধ অভিবাসনের পথ সম্পর্কে যথাযথভাবে জানাতে হবে। গত ১৬ মে ২০২৪ ব্রিটেনে অবৈধ অভিবাসন রোধে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে অবস্থানকারী বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিরাপদে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। ২০১১ সালের ব্রিটিশ সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৪ লাখ ৫১ হাজার ৫২৯ বাংলাদেশি ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে ব্রিটেনে বসবাস করছেন। এদের মধ্যে ৫২ শতাংশ ব্রিটেনেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বাকি ৪৮ শতাংশ বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশে জন্ম নিলেও পরবর্তী সময়ে ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ অবৈধভাবে ইউরোপের ছয়টি রুট দিয়ে, বিশেষত ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেছেন। ২০২৩ সালে ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছেন। এর মধ্যে শুধু গত বছরে ইতালিতে ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী হিসেবে প্রবেশ করেছেন। তাঁদের একটি বড় অংশ সম্প্রতি ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ঢোকার চেষ্টা করেছেন।

অবৈধভাবে প্রবেশ করা এসব অভিবাসীর অনেকেই শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে ব্রিটেনের আদালতে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। কিন্ত ফল হিসেবে, ব্রিটেনে উদ্বেগজনকভাবে শরণার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাসাইলাম ইনফরমেশন ডাটাবেজের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৪ হাজার ২৫৮ জন আশ্রয়প্রার্থী যুক্তরাজ্যে প্রোটেকশন স্ট্যাটাস এর জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৭১ শতাংশ আবেদনকারীর আবেদন খারিজ করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে এ রকম আশ্রয়ের আবেদন বেড়ে যাওয়ার কারণে তা ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করছে। উল্লেখ্য যে, ব্রিটিশ সরকারের প্রাইভেসি অ্যাক্ট অনুযায়ী তারা আবেদন কারীর কোনো প্রকার তথ্য প্রকাশ করে না। কাজেই এই আশ্রয়প্রত্যাশীরা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী, নাকি বিদেশে যাওয়ায় পর তাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে, নাকি তাঁরা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে গিয়েছেন, তা ধারণা করা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সময়ে ব্রিটিশ সরকার অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে অবৈধ অভিবাসন রোধে কঠোর নীতি প্রয়োগ নতুন কোনো বিষয় নয়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অনেক আগে থেকেই এর ধারাবাহিকতা চলছে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে আসা এই শরণার্থীর অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বা ব্রিটেনে আশ্রয় নিতে চান রাজনৈতিক কারণে। ১৯৫১ সালে স্বাক্ষরিত রিফিউজি কনভেনশন অনুযায়ী ব্রিটিশ সরকার আশ্রয়প্রার্থীদের মানবিক সাহায্যের পাশাপাশি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এসব আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন যাচাই-বাছাই করে। তবে সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। যেমন, সম্প্রতি তারা রুয়ান্ডার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, যার আওতায় যুক্তরাজ্যে আসা অবৈধ অভিবাসীদের একটি বড় অংশকে রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

ব্রিটিশ সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ লাখ ৭৪ হাজার ব্রিটেনে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন। যেহেতু ব্রিটিশ সরকার ইউক্রেনকে আর্থিক ও মানবিক দিক থেকে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাই ব্রিটেন তাদের সামগ্রিক বাজেটের একটি বড় অংশ ইউক্রেনের পেছনে ব্যয় করছে। ফলে যুক্তরাজ্য অন্যান্য দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে নতুন কোনো অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি ব্রিটেনের অর্থনীতিকে দুর্বল করতে না পারে।যুক্তরাজ্য ও রুয়ান্ডা সরকারের চুক্তির কারণ রুয়ান্ডা সরকারের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে তারা কেন যুক্তরাজ্য সরকারকে সাহায্য করতে আগ্রহী, তার বিভিন্ন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন; রুয়ান্ডা বর্তমানে তার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে আফ্রিকার দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তবে রুয়ান্ডা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। সে দেশের সরকার এ কারণে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। বলতে গেলে এই অভিযোগ গুলো ঢাকার লক্ষ্যে বা নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষায় রুয়ান্ডা সরকার যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই চুক্তির অন্যতম কারণ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ। রুয়ান্ডা ধারণা করছে, যুক্তরাজ্য সরকার রুয়ান্ডায় বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ করবে। যেহেতু রুয়ান্ডা তার অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে, তাই এই সময় বিদেশি বিনিয়োগ রুয়ান্ডার জন্য ব্যাপক সুফল বয়ে আনবে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্য থেকে আসা অভিবাসীদের আশ্রয় দিলে রুয়ান্ডায় ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে আসা বিনিয়োগের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। রুয়ান্ডায় কর্মক্ষম লোকবলের সংকট রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে এসব অভিবাসীকে কাজে লাগানোরও পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।

ইউরোপীয় কমিশনের তথ্যমতে ইইউ-তুরস্ক চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউরোপে শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে অন্যতম রুট তুরস্ককে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য দিয়েছিল। তবে অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা, রুয়ান্ডার এই পদক্ষেপ তাদের গণতন্ত্রের দুর্বলতা ঢাকার একটি প্রচেষ্টা। কিন্তু যুক্তরাজ্যের সুশীল সমাজ ও মানবাধিকারকর্মীরা এ ধরনের নীতিমালার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ করছেন। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের সাধারণ জনগণ এই অবৈধ অভিবাসীদের বোঝা মনে করছেন না;বরং যুক্তরাজ্যের রাজনীতিবিদেরা রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে অবৈধ অভিবাসনকে সামনে আনছেন। তাঁরা ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, গণতন্ত্র সুরক্ষাসহ মানবিক সংকটে ব্রিটেনের প্রতিশ্রুতি বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। যাইহোক, ব্রিটেনের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি কোনো নতুন বিষয় নয়। এর আগে ২০১৭ সালে ইউরোপে বসবাসরত প্রায় ৯০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠাতে
ইইউ’র সঙ্গে এসওপি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির আলোকে ইউরোপে যেসব বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসী আছেন, তাঁদের যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে আশ্রয় না পেলে তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে। সে সময় মানবাধিকারকর্মীরা এর ব্যাপক সমালোচনা করে বলেছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ বা আফগানিস্তানের মতো দুর্বল রাষ্ট্র থেকে আসা অভিবাসীদের বেলায় ভিসা নীতি প্রয়োগের ভয় দেখিয়ে এই চুক্তি করতে বাধ্য করেছিল। সে সময় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই পদক্ষেপ সমালোচিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে করা চুক্তিতে এ রকম কোনো নীতি আছে কি না, সে সম্পর্কে আমরা কোনো ধারণা পাইনি। এ পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগে বাংলাদেশে যাঁরা অভিবাসন নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের থেকে সরকারকে কোনো রকম সুপারিশ করার সুযোগ ছিল না।

এ চুক্তি সম্পর্কে এখনো কোনো সুস্পষ্ট ধারণা কারও কাছে নেই। এখানে আমাদের আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশি যাঁরা আছেন, তাঁদের অধিকার কতটুকু সুনিশ্চিত হচ্ছে? আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে প্রতিবছর আমরা এই বৈধ এবং অবৈধ পথে যুক্তরাজ্য যাওয়া অভিবাসীদের মাধ্যমে বছরে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাচ্ছি। কাজেই তাঁদের প্রতি আমাদের একধরনের দায়বদ্ধতা রয়েছে।তাই বাংলাদেশ সরকারকে পুরো ব্যাপারটাকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। আমাদের অভিবাসননীতিতে এই অবৈধ অভিবাসীদের জন্য কী ধরনের কাজ করা যেতে পারে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। যদিও ব্রিটিশ সরকারের কাছে দেশটির নতুন অভিবাসী আইন বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন,এর ফলে দেশটিতে আশ্রয় চাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে।ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সরকারের প্রধান লক্ষ্য ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্য আসতে চাওয়া ছোট নৌকাগুলোকে ঠেকানো। নতুন এই বিলটি এপ্রিলে অনুমোদন দিয়েছে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ। উচ্চকক্ষ হাউজ অব লর্ডসে পাস হলে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসীদের দ্রুত আটক করে নিজ দেশে বা রুয়ান্ডার মতো তথাকথিত নিরাপদ তৃতীয় দেশে ফেরত পাঠানো সহজ হবে। কিন্ত আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের দৃষ্টিতে জাতিসংঘ গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ এই বিল একটি বিশেষ পথে এলে অভিবাসীদের আশ্রয় প্রার্থনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। কোনো দেশে মানবাধিকারের লঙ্ঘন হলে সেদেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা মানবাধিকার সংস্থার প্রধানের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন পশ্চিমা কোনো দেশের ক্ষেত্রে এমন আনুষ্ঠানিক উদ্বেগ প্রকাশের ঘটনা বেশ বিরল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.