আদালতের রায়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করল প্রশাসন

সিরাজুল ইসলাম আপন, ক্রাইম রিপোর্টার (পাবনা): পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিজ্ঞ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি উদ্ধার করা হয়েছে। পাবনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন সরকারের নেতৃত্বে বুধবার (৭জুন) দুপুরে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ঝবঝবিয়া গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ অভিযানে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে ১৬ শতক জমি বুঝে পেয়ে বিজ্ঞ আদালত ও জেলা প্রশাসনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জমির মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম। রফিকুল ইসলাম ঝবঝবিয়া গ্রামের মৃত. ছগীর উদ্দীন ছেলে ও খানমরিচ ইউনিয়নের কঠোবাড়ি স:প্র: বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন।

জানা যায়, ছগীর উদ্দীন বেঁচে থাকা কালীন ছেলে রফিকুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম ও স্ত্রী রমেলা খাতুন কে ১৬ শতক দলিল করে দেন । পরবর্তীতে মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আলাউদ্দিন, মো. আলমগীর হোসেন ও আলামিন বাদী হয়ে দলিল বাতিলের জন্য পাবনা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন যাহার (নং ৩৮৭/২০) মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আনোয়ার হোসেন গং প্রভাবশালী হওয়ায় জবরদখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও রুমেলা খাতুন বাদী হয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাবনা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন মামলা( নং ২০২১/২১)। পাবনা আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. তৌহিদুল ইসলাম ২০২২ সালের ফেব্রয়ারী মাসে এ উচ্ছেদ মামলায় রফিকুল ইসলাম গংদের পক্ষে রায় দেন। আদালতের রায়ে অবৈধ দখলদার মো. আনোয়ার হোসেন গংদেরকে উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া হয়।

বিজ্ঞ আদালতের এ আদেশের প্রেক্ষিতে বুধবার পাবনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন সরকারের নেতৃত্বে অবশেষে এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জমির মালিক মাস্টার রফিকুল ইসলাম। অভিযানে আরো অংশ নেন জেলা নাজির রফিকুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের প্রায় ১৫ জন সদস্য। অভিযান চলাকালে এলাকার শত শত উৎসুক মানুষের উপস্থিত ছিলেন। এ অভিযান ভূমি গ্রাসী চক্র ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে একটি শতর্কবার্তা বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। সেই সাথে এলাকাবাসী বিজ্ঞ আদালত, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানায়।

উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধদখলদার আনোয়ার হোসেন গং এর অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে জমি দখলমুক্ত করে প্রকৃত মালিক মাস্টার রফিকুল ইসলামকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। তবে ১৬ শতকের মধ্যে ৩ শতকে পাকা স্থাপনা থাকায় তা উচ্ছেদ না করেই চলে যান প্রশাসন।

পাবনা জেলার নাজির রফিকুল ইসলামের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন এখানে সাংবাদিকদের কোন কাজ নেই আপনারা এখানে আসছেন কেন? এ বিষয়ে আপনাদের সাথে কোন কথা বলতে চাচ্ছি না ।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন সরকার বলেন, বিজ্ঞ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর আদালতের রায়ে পাকা স্থাপনা উল্লেখ না থাকায় ৩ শতক জায়গা উচ্ছেদ করা হয় নি তবে আদালত পুনরায় রায় দিলে পাকা স্থাপনাটাও উচ্ছেদ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.