বদলগাছীতে উজানে নদীর বুকে বাঁধ দিয়ে শুকিয়ে নদীগর্ভে লালমাটি কর্তনের মহৎসব দেখার কেউ নেই

এমদাদুল হক দুলু বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর বদলগাছী ছোট যমুনা নদীর উজানে চকআলম গ্রামের নিকট নদীর বুকে বাঁধ দিয়ে স্ধেসঢ়;্রাতের পানি আটকে রেখে ভাটায় পুরো নদীর বুক শুকিয়ে ফেলে অবৈধ খনন যন্ত্র দিয়ে বিভিন্ন স্থানে লালমাটি সহ মাটিবালু কর্তনের মহৎসব চলছে। বাঁধ দিয়ে নদীতে পানি আটকে রাখায় উজানে নদীর ধারের বোরো ধানসহ মিষ্টি আলুর ক্ষেতে পানি উঠার অভিযোগ উঠেছে।

বালু মহাল লীজ নেওয়ার নামে নীতিমালা তোয়াককা না করে মাটি বালু লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাধর নদীর বালু মহাল ইজারাদারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকালে তথ্য সংগ্রহকালে দেখা যায় উপজেলা সদরের উত্তরে চকআলম গ্রামের নিকট ছোট যমুনা নদীর বুকে বাঁধ দিয়ে উজানে স্রোতের পানি আটকে রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে সেখানে উপস্থিত কয়েক জন স্থানীয় লোক নাম পরিচয় দিতে রাজি হয়নি। তারা জানালেন নদীর ধারে মিষ্টি আলু চাষাবাদ করে কৃষক।

 অনেক গরীব মানুষ নদীর ধারে বোরো ধান চাষ করেছে। উজানে বহুদুর পর্যন্ত পানি উঠে এসব ফসল নষ্ট হচ্ছে। নদীতে বাঁধ কে দিয়েছে জানতে চাইলে গ্রামবাসী জানায় যারা নদীতে মাটি কাটছে তারায় বাঁধ দিয়েছে। কদমগাছী গ্রামের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বাবু বলেন নদীর মাটিবাহী ট্রাক বেপরোয়া চলাচলে রাস্তাঘাট নষ্ট করছে। ধুলোবালুতে রাস্তাঘাটে মানুষ বের হতে পারছে না। বৃষ্টি হলে পাকা রাস্তায় কাদা হচ্ছে। তাছাড়া বদলগাছীর উত্তর দিকে

চকআলম গ্রামের নিকট ছোট যমুনা নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রেখে বদলগাছী থেকে দক্ষিনে পুরো যমুনা নদী বুক শুকিয়ে ফেলে মাটি বালু লুটপাটের তান্ডব লিলা শুরু করেছে। ছোট যমুনা নদীর বয়সে বালু মহাল লিজের নামে এ রকম তান্ডব লিলা এলাকাবাসীর চোখে পরেনি কখনো। কাদিমপুর গ্রামের আবু তাহের জানায় নদীর ধারে চাষকৃত তার ৮ শতক বোরো ধান ডুবে গেছে, রইচ উদ্দিনের১৬ শতক।

বদলগাছী থেকে ১৫ কিলো দুরে বালুভরা ও এনায়েতপুর গ্রামের লোক জন জানায় তারা নারী পুরুষ সবাই নদীর পানিতে গোসল করে কিন্তু উজানে বাঁধ দেওয়ার কারনে নদীতে পানি আসছে না। নদীর বুক শুকিয়ে উঠেছে। নদীর বুকে নিচু জায়গায় কিছু ঘোলা পানি জমে আছে। সেই ঘোলা পানিতে তারা গোসল করছে।

এলাকাবাসী জানায় নদীর বুক শুকিয়ে উঠায় মৎস্য সম্পদ ক্ষতি সাধিত হয়েছে। নদীতে বালু নেই তবু হয় লিজ। এর ফলে ইজারাদারেরা নদীর দুপাশে প্রতিবছর বিঘা বিঘা ফসলি জমির মাটি জোর পূর্বক কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বালু মহাল ইজারাদার তপন কুমারের দুদিন ধরে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন এর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন এ কেমন কথা নদীর গতিপথ বন্ধ করে। বিষয়টি দেখতেছি। নওগাঁ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফায়জুর রহমান এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টি ইউএনওর সঙ্গে কথা বলতে হবে।

 নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো, খালিদ মেহেদী হাসান বিপিএএ এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান লিজ দেওয়ার সাথে সাথে মাটি বালু কর্তনের নীতিমালা দেওয়া হয়েছে এর বাহিরে কোন কিছু করাঅপরাধ। এ ছারা বাঁধ দিয়ে যদি নদীর গতিপথ বন্ধ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.