আমতলীতে সার্ভেয়ারের সহযোগিতায় সরকারী জমিতে অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মাণ!

সাইফুল্লাহ নাসির,আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতাঃ
বরগুনার আমতলীতে সরকারী জমিতে অবৈধভাবে জুয়েল গাজী ও শাকুর গাজী উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার আহসানুল হক রুবেল ও কুকুয়া ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আবু জাফরের সহায়তায় পাকা ভবন নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এমন অভিযোগ করেছেন।  তাদের আরো অভিযোগ মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে এ দুই কর্মকর্তা ভবন নির্মাণে সহায়তা করছেন।  ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দরে।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান বলেন,সরকারী খাস জমিতে পাকা ভবন নির্মাণের কোন সুযোগই নেই। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে ওই স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হবে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দরের সরকারী ৮ একর ৩৭ শতাংশ সরকারী খাস জমি রয়েছে। ওই জমির মধ্যে ৮ শতাংশ জমি জুয়েল গাজী ও শাকুর গাজী দুই ভাই দখল করে নেন। গত সোমবার থেকে ওই জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন তারা। স্থানীয়রা এ সরকারী জমি দখল ও পাকা ভবন নির্মাণের বিষয়টি উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার আহসানুল হক রুবেল ও ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আবু জাফরকে জানালে তারা তাদের কাছ থেকে ঘুস এনে নির্মাণ কাজের অনুমতি দেন। তাদের অনুমতি পেয়ে অবৈধ দখলদাররা পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার আহসানুল হক রুবেল ও ভুমি কর্মকর্তা আবু জাফর মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে কাজের অনুমতি দিয়েছেন। ফলে অনায়াসে তারা পাকা ভবন নির্মাণ করতে সাহস পাচ্ছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,তিন দিকে বেড়া দিয়ে ভিতরে পাকা ভবনের কাজ চলছে। পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন। পাশে জুয়েল গাজী ও শাকুর গাজী দাড়িয়ে কাজ দেখভাল করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, সরকারী জমিতে জুয়েল গাজী ও শাকুর গাজী অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। এ বিষয়টি উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মকর্তাকে জানালে ওই অফিসের সার্ভেয়ার আহসানুল হক রুবেল  ও ইউনিয়ন সহকারী কর্মকর্তা আবু জাফর এসে জুয়েল গাজীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। সরকারী জমি সরকারী কর্মকর্তারা রক্ষা না করে তাহলে করবে কে?
পাকা ভবন নির্মাণকারী জুয়েল গাজী ও শাকুর গাজী বলেন,দখলীয় জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করতেছি। এ পাকা ভবন নির্মাণের বিষয়টি উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা জানেন।
কুকুয়া ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) মোঃ আবু জাফর টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন,পাকা ভবনের কাজ করতে জুয়েল গাজীকে নিষেধ করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার আহসানুল হক রুবেল বলেন, সরকারী জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করতেই পারবে না। তবে ঘুষ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো বলেন, সরকারী জমি উদ্ধার না করে কেউ যদি ঘুষ নিয়ে পাকা ভবন নির্মাণপ সহায়তা করে থাকেন, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published.