তমালিকা মল্লিক প্রতিবেদকঃ ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ রবিবার লিডার্সের উদ্যোগে “ Protect L&D– জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতি কমানোর জন্য জনগণেরসহনশীলতায় রূপান্তর প্রকল্প” এর প্রকল্প অফিসে প্রকল্প উপকারভোগীকৃষানীদের মাঝে বোরো মৌসুমের লবনাক্ততা ও খরা সহনশীল ধানবীজএবং রবি মৌসুমের সবজি-বীজ ও জৈব সার বিতরণ করা হয়। উক্তবীজ বিতরনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশাশুনি জলবায়ুঅধিপরামর্শ ফোরামের যুগ্ম-সম্পাদক জনাব বলমালী দাস, প্রধানঅতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিসারজনাব এস এম এনামূল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিতছিলেন ইপিআরসি সংস্থার প্রকল্প মনিটরিং অফিসার জনাব মোঃআকরাম হোসেন, প্রকল্পের টিম লিডার জনাব রনজিৎ কুমার মন্ডলসহঅন্যান্য কর্ম কর্তাবৃন্দ ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থভুক্তভোগী কৃষাণীগন উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে জনাব রনজিৎ কুমার মন্ডল বলেনতৃনমূল পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগীদের কৃষিখাতে ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রাযথেষ্ট বেশী। জলবায়ু স্মার্ট কৃষির মাধ্যমে ক্ষয় ক্ষতি কমানো সম্ভব। এইপ্রকল্প জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগী কৃষাণীদেরজলবায়ু স্মার্ট কৃষি চর্চায় উৎসাহিত করার জন্য বীজ ও জৈব সারবিতরন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধান অতিথি মহোদয় বক্তব্যেবলেন আমার এলাকা দূর্যোগ কবলিত এলাকা এখানে প্রতি ইঞ্চি জমিচাষাবাদের আওতায় আনা প্রয়োজন, পাশাপাশি কৃষিকে শক্তিশালীকরার জন্য বাজারের বীজের উপর নির্ভরশীলতা কমানো প্রয়োজন। তিনি কৃষাণীদের উদ্দেশ্যে ধান এবং সবজি বীজের ক্ষেত্রে উচ্চফলনশীলবীজ থেকে বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ করার পরামর্শ দেন। সভাপতিমহোদয় তার বক্তব্যে লিডার্সে সময় উপযোগী কার্যক্রমের সাধুবাদজানান। উক্ত অনুষ্ঠানে ১১৪ জন কৃষকের মাঝে ৪৮৫ কেজি (ব্রিধান৬৭) ধানবীজ এবং ৬০০ গ্রাম মিস্টিকুমড়া, ১৩৭৫ গ্রাম লালশাক, ৬০০ গ্রাম লাউ, ৫৫০ গ্রাম বীট, ১৩৭৫ গ্রাম বরবটি, ১৩৭৫ গ্রাম পালংশাক, ১৩৭৫ গ্রাম টকপালং এবং ১০২৬ কেজি জৈব সার বিতরণ করা হয়।