কমিশন ছাড়া কোনকিছুই গ্রহণযোগ্য হবে না : জেএসএফ বাংলাদেশ

কমিটি ও কমিশনের পার্থক্য জাতি স্পষ্ট করেই বুঝে, তদন্ত হাকিকুল ইসলাম খোকন, প্রতিনিধি আমেরিকাঃ জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম ( জেএসএফ ) বাংলাদেশ এর পক্ষথেকে হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন এক বিবৃতিতে বলেছেছ, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে হলে শক্তিশালী তদন্ত কমিশন গঠন করে তদন্ত করতে হবে। কথিত কোন কমিটি সেটা করতে পারবে না। আর কমিটি এবং কমিশনের পার্থক্য জাতি স্পষ্ট করেই বুঝে।

গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে জেএসএফ বাংলাদেশ বলেছে , বিডিআর গণহত্যায় জড়িতদের রক্ষার জন্য এসব টালবাহানা জাতি মানবে না। বিডিআর পিলখানা হত্যার তদন্তে ‘কমিশন’ নয় ‘কমিটি’ নতুন শুভঙ্করের ফাঁকি।

‘কমিশন’ নয়-‘কমিটি’ : শুভঙ্করের ফাঁকি : দাবি ছিলো ‘কমিশন’। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে ‘কমিটি’ করার। দু’টিকে অভিন্ন বিষয় দাবি করলেও ‘কমিশন’ এবং ‘কমিটি’র আবিধানিক অর্থে রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। ‘কমিশন’ বলতে কোনো একটি সংগঠন বা প্রশাসনিক সংস্থাকে বোঝায়। যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন, নির্বাচন কমিশন। যে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা থাকে। যারা একত্রিত হয়ে রাষ্ট্রীয় কোনো দায়িত্ব পালন করে থাকে। সত্ত¡া হিসেবে এটি স্বাধীন। কমিশনে এক বা একাধিক জনবল থাকে। পদবিন্যাস বা অর্গানোগ্রাম থাকে। কমিশনে কমিশনারদের নিয়োগ প্রদান করেন প্রেসিডেন্ট। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় ‘কমিশন’ একটি বহুমুখি সংস্থা। যা একটি নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়। সেটি হতে পারে প্রশাসনিক,আইনি বা বিচারিক। যুক্তরাজ্যে ‘কমিশন’ বলতে তদন্ত কাজে ব্যবহৃত সংস্থাকে বোঝানো হয়। এটি একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থাও হতে পারে।
পক্ষান্তরে, ‘কমিটি’ হচ্ছে এক বা একাধিক ব্যক্তির একটি সংস্থা। এটি অন্য সংস্থার অধীন হিসেবে কাজ করে। কমিটি নিজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। একটি আইনসভার সদস্যকে একটি কমিটির কার্যভার অর্পণ করা যায়। যা তাদের একটি নির্দিষ্ট কমিটিতে কাজ করার অধিকার দেয়। তাই ‘কমিশন’র পরিবর্তে ‘কমিটি’ করাকে শুভঙ্করের ফাঁকি বলে আখ্যায়িত করেছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, কমিশন হচ্ছে স্বাধীন এবং ব্যাপকভিত্তিক কর্ম পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত। কিন্তু কমিটির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কমিশন গঠন করা না হলে বিডিআর পিলখানা নজিরবিহীন এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত মোটিভ উদঘাটন সম্ভব হবে না। প্রকারন্তে, কমিটি গঠনের মাঝে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার মতো শুভঙ্করের ফাঁকি থাকতে পারে।

জেএসএফ বাংলাদেশ বিবৃতিতে বলেছে , স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে বিডিআর বিদ্রোহের নামে সেনা কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করবে হতে। স্বাধীন তদন্ত কমিটি করা হলে অনেকের নাম আসবে। আমরা বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। এদেশের সাধারণ মানুষ বিডিআর হত্যাকাÐের সাথে প্রত্যক্ষভাবে ও নেপথ্যে জড়িতদের বের করে বিচারের কাঠগড়ায় দেখছে চায়। বিচার চাইতে গিয়ে অনেক দেশপ্রেমিক, সাহসী সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত হয়েছেন। অনেক কর্মকর্তার জেল হয়েছে, জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন এই হত্যাকাÐের তদন্তে একটি কমিশন করা হোক। যেসব নির্দোষ সৈনিক জেলে আছেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের মুক্তি দেয়া হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published.