মোঃ মোকাররম হোসাইন, কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫রুম বিশিষ্ট তিন তলা ভবনের নির্মান কাজ করছে নওগাঁর মাসুদ রানা নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার স্বত্বাধিকারী মাসুদ রানা এই নির্মাণ কাজ করছে। নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয় মাঠে নির্মান সামগ্রী না রেখে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিকল্প স্থান ব্যবহার করা। অথচ ছাত্র ছাত্রীদের খেলার মাঠ ও বারান্দা দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রেখে ব্যবহার করছে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরোজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার আহমেদাবাদের ইউনিয়নের এক ডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য শ্রেনীকক্ষ বৃদ্ধির জন্য প্রায় এক বছর আগে নওগাঁর মাসুদ রানা নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫রুম বিশিষ্ট তিন তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নির্মান কাজের প্রথম থেকেই তিনি ওই বিদ্যালয়ের উত্তর পশ্চিম মাঠের জায়গা ফাঁকা রেখে ক্লাসরুমের সামনে মাঠে ইট,ইটের খোয়া,রড, বালু, পেরেক (লোহা) ব্যবহারিত কাঠ এবং বারান্দায় সিমেন্ট রেখে কাজ করছেন। মাঠ জুড়ে এসব নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের চলাচলের সময় হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোরসালিন বিল্লাল,জুনায়েদ, মরিয়ম, রাশেদসহ অনেকে জানান, মাঠ জুড়ে নির্মাণ সামগ্রী জিনিসপত্র রাখায় তাদের সারাক্ষণ শ্রেণিকক্ষেই আটকে থাকতে হয়। টিফিন বা অন্য সময়ে খেলাধুলা করবে সে সুযোগ তারা পায়না। তারা শিক্ষকদেরকে জানালে বলেন স্কুলের কাজে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মাসুদ রানা জানান, জায়গা সংকলোনের জন্য নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে।
একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অনুরোধের কারনে উন্নয়ন কাজের স্বার্থে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা গীতা রাণী জানান,স্কুলের মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রেখে কাজ করার অনুমতি না থাকলেও উন্নয়নের স্বার্থে এক প্রকার বাধ্য হয়েই মেনে নিতে হচ্ছে।
কালাই উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, আপনের মাধ্যমে জানতে পারলাম । বিষয়টি সরোজমিনে দেখে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।