জাকির হোসেন নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ. সবাই যখন শরিদীয় পূজা উপভোগে ব্যস্ত তখন নিরঞ্জনও আনন্দে মেতে ওঠেন। শুক্রবার রাত তখন সাড়ে ১১টা। ভাগিনা সবুজ সরকার নিরঞ্জন উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ভাবিচা মন্দির থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ রাস্তার পাশে একটি মোবাইল ফোন পড়ে থাকতে দেখে সেটি তুলে নেন। পরে ভাগিনা কর্তৃক সবুজ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিরঞ্জন জেলা সদরের ধোপাইপুর গ্রামের বাসিন্দা। এবারের পুজো উপলক্ষে বোনের বাড়িতে এসেছেন তিনি। শনিবার প্রদীপের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেওয়া হয়।
নিরঞ্জন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার বোনের স্বামী কয়েকদিন আগে মারা গেছেন। ফলে আমি এখানে বেশ কিছুদিন থেকেই রয়েছি। মন্দির থেকে ভাগিনার বাড়িতে ফেরার পথে মোবাইল ফোনটি তুলে নেওয়া হয়। আসল মালিকের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য ভাগিনার কাছে ফোনটি হস্তান্তর করি। শনিবার ফোনের মালিক এসে নিয়ে যান। ফোন ফেরত দিতে পেরে স্বস্তি বোধ করছি।
সবুজ সরকার বলেন, রাতে মামা এসে আমার হাতে ফোন দেন। তারপর সকাল একটার দিকে একটা ফোন আসে। পরিচয় জানতে চাইলে বলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের রামাপাড়া গ্রামের প্রদীপ রবিদাস। শনিবার সকালে এসে যাচাই বাছাই করে সাবেক ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে ফোনটি হস্তান্তর করা হয়।
প্রদীপ রবিদাস বলেন, সব বন্ধুদের নিয়ে পিকআপ ভাড়া করে বেড়াতে গিয়েছিলাম। পকেট থেকে ফোন পড়ে গিয়েছে বুঝতে পারিনি। ফোনটা কিনেছিলাম ১২ হাজার টাকায়। এটা ফিরে পেয়ে খুব খুশি লাগছে। সমাজে এখনো যে ভালো মানুষ আছে তার প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল।
ভাবিচা ইউপির সাবেক মেম্বার তুষিত কুমার জানান, নিরঞ্জন সরকার মোবাইল ফিরিয়ে দিয়ে অনেক ভালো কাজ করেছে। সমাজে সততা সম্পন্ন মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে এই কামনা করি।