কৃষকদের অবদানকে সম্মান জানিয়ে কৃষক আনন্দ মেলা অনুষ্ঠিত

পলাশ সাহা, (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : দুই দিনব্যাপী কৃষক আনন্দ মেলার উদ্বোধন অনু্ষ্ঠানে নেত্রকোনা -১ আসনের সংসদ সদস্য ও মেলার প্রধান উপদেষ্টা মোশতাক আহমেদ রুহী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন কৃষি বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। সারা বিশ্বে এ জন্য তিনি প্রশংসিত। সারা বিশ্বে কৃষকদের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়। আমাদের যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা সেটাকে অক্ষুণ্ণ রাখা এবং এটাকে আরো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করার জন্য কৃষকের যে অবদান সে অবদানের সম্মান মূল্যায়ন
এটার উপলক্ষেই এ কৃষক আনন্দ মেলার আয়োজন। আমি যখন প্রথম এমপি হয়েছিলাম তখন যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গুলো নিয়েছিলাম সেগুলোর ভিতর যেগুলো অসমাপ্ত রয়েছে সেগুলো সমাপ্ত করবো।  আমি এবার কিছু কাল কালজয়ী কাজ করতে চাই এবং সেগুলো চমক হিসেবে থাকবে  দৃশ্যমান হলে আপনারা দেখবেন।
বাংলা নববর্ষের আনন্দ কৃষকদের মাঝে
ভাগ করার প্রয়াস থেকে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী কৃষক আনন্দ মেলা। রবিবার দুপুরে এম কে সি এম পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলুন উড়িয়ে এ মেলার উদ্বোধন করেন নেত্রকোনা -১ আসনের সংসদ সদস্য ও মেলার প্রধান উপদেষ্টা মোশতাক আহমেদ রুহী। পরে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয় এরপর সংসদ সদস্য উপস্থিত সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল  হাসান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান  পারভীন আক্তার,পৌর মেয়র আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুস সালাম,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ জেবুন্নেছা,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফিক, দুর্গাপুর সার্কেলর এএসপি আক্কাছ আলী, থানা ওসি উত্তম চন্দ্র দেব,  সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদুল হক খান, আব্দুল্লাহ হক, সাবেক মেয়র কামাল পাশা, শ.ম জয়নাল আবেদীন সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, স্থানীয় কৃষক  জনগোষ্ঠীকে সম্মান প্রদান সহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে একটু আনন্দ এবং নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির আদি কৃষ্টি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় থাকছে আবহমান বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যের নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। অতীতের গ্লানি, দুঃখ, জরা মুছে অসুন্দর ও অশুভকে পেছনে ফেলে বাংলা বর্ষবরণের মধ্য দিয়ে আমরা নতুনভাবে এগিয়ে যাব।
এ ছাড়া দর্শকদের মাঝে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনা করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি, সুকুমার বাউল, ঐশি, লায়লা ও আভাস ব্যান্ডের তুহিন সহ স্থানীয় শিল্পীরা।
মেলা উপলক্ষে মাঠ চত্বরে বসেছে মাটির খেলনা সামগ্রী সহ বিভিন্ন দোকান।  এ মেলার মাধ্যমে বেঁচে থাকবে বাংলার ঐতিহ্য, বাংলার সংস্কৃতি মনে করেন আয়োজকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.