শামীম আখতার (নিজস্ব প্রতিবেদক) কেশবপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিজ্ঞ আদালতের একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি প্রতারক মঈনুর রহমান (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে। গত শনিবার (১মার্চ) রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি চুকনগর মডেল মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। সে কেশবপুর উপজেলার পরচক্রা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন এর দিক-নির্দেশনায় উপ-পুলিশ পরিদর্শক আমিনুর রহমান ও সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক অশোক কুমার বিশ্বাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গত শনিবার রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মঈনুর রহমান (৫২) কে গ্রেফতার করে। মঈনুর বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণা ও চেক ডিজঅনারের মামলা রয়েছে। পরে থানা পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
একাধিক ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, মঈনুর রহমান চুকনগর মডেল মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। ওই কলেজে চাকরি দেওয়ার নাম করেও প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া পদ্মাসেতু তৈরির সময় ওই প্রজেক্টে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছেন। এর বাইরেও সোনার বাংলা ঋনদান ও সমবায় সমিতি ও সোনার বাংলা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস নামের একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন প্রলোভনে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর থেকে তিনি নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে ছিলেন। তবে, তার গ্রেফতারের খবর এলাকায় জড়িয়ে পড়লে রবিবার সকালে থানা চত্তরে অসংখ্য নারীপুরুষ পাওনাদার জড়ো হতে থাকেন। এদের মধ্যে কেশবপুরের ভোগতী এলাকার সুলতান বলেন, আমাকে রোমানিয়া পাঠানোর কথা বলে ৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আনিছুর রহমান নামে আরেক এক ভুক্তভোগী বলেন, আমাকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছে। এছাড়াও অধিকাংশ মানুষকেই বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে থেকে ১০ লাখ ১৫ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, একাধিক প্রতারণা মামলায় বিজ্ঞ আদালতের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মঈনুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামিকে যশোর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।