শামীম আখতার (নিজস্ব প্রতিবেদক) কেশবপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যোগ্যতা ও ন্যায্যতার আলোকে সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডে বেতন প্রদান ব্যবস্থার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে বৈষম্য নিরসনে কেশবপুর প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে পৌরশহরের ত্রিমোহিনী মোড়ে শহীদ দৌলত বিশ্বাস চত্বরে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে দোরমুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কে এম ফিরোজ সুলতান সবুজের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কোমরপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নওশাদ আলী, আলতাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা বাবু, সাবদিয়া বাজিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান, বায়সা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উৎপল রায় চৌধুরী, মজিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব কুমার দেবনাথ, আলতাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম, মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রশীদ, চাঁদড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেশমা খাতুন, বড়েঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমজাদ হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১ দফা ঘোষণার পর ছাত্র-জনতা তীব্র আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েন। ছাত্র-জনতার তাজা রক্তের বিনিময়ে বৈষম্যবিহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণে বাক-স্বাধীনতা ফেরার নতুন সূর্যোদয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি বৈষম্যবিরোধী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেজন্য সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আন্দোলনে বুক চেতিয়ে আত্মদানকারী বীর শহীদ ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর শিক্ষার ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার সূতিকাগারের কান্ডারী। আমরা নোবেল বিজয়ী বীরের জাতি। আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক নোবেল বিজয়ী মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এখন রাষ্ট্রের কর্ণধর। বৈষম্যবিরোধী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সাম্য গড়ার প্রত্যায়ে উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধ এবং সমতার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। তাই বৈষম্যহীন সমতার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সারথি হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষকরা সমতার স্মার্ট নাগরিক গড়ার প্রধান নিয়ামক হিসাবে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডে বেতনের দাবি জানান।
মানববন্ধন শেষে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করার দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে প্রেরণের জন্য কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষকরা।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানকালে কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে শিক্ষকরা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।