কেশবপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের চার দফা দাবিতে “রেজিস্ট্যান্স উইক” কর্মসূচি পালন

শামীম আখতার (নিজস্ব প্রতিবেদক) যশোরের কেশবপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের চার দফা দাবিতে “রেজিস্ট্যান্স উইক” কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে আন্দোলনকারী বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা কেশবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে একটি মিছিল বের করে পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ত্রিমোহিনী মোড় চত্বরে সমাবেশ করেন। সমাবেশে ছাত্র-জনতার ঢল নামে এবং নানান শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। চার দফা দাবিতে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। তারই অংশ হিসেবে কেশবপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ওই কর্মসূচির আয়োজন করেন। 

 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সম্রাট হোসেন, অরিন চৌধুরী, মিরাজ বিশ্বাস প্রমূখ। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা শুনেছি বিভিন্ন মহল থেকে আজ ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ থেকে শুরু করে স্বৈরাচারের যারা দোসর ছিল তারা আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পাল্টা গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। ছাত্র-জনতা গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে। তারা যদি আবার দেশে একটি পাল্টা গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর বিন্দু মাত্র চেষ্টা করে, তাহলে তাদের আর কোন অস্তিত্ব থাকবে না। এজন্য ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তাদের হুঁশিয়ার এবং সাবধান করে দিতে চাই। এদেশ নিয়ে আর কোন ছেলেখেলা করার চেষ্টা করবেন না। এ দেশটা ছাত্র জনতা মিলে একসাথে উন্নয়নের জন্য যেদিকে যাওয়া প্রয়োজন সেদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা করার প্রয়োজন আমরা তাই করবো। কেউ যদি আমাদের এই দেশ নিয়ে বিন্দুমাত্র ষড়যন্ত্র বা অপচেষ্টা করে তাহলে ছাত্র-জনতা যেকোন ভাবেই রুখে দিবে। তারই পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা চার দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো:-১। ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলো দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

২। সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।

৩। প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুত সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারকে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। 

৪। প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.