কেশবপুরে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শামীম আখতার (খুলনা) ঃ যশোরের কেশবপুরে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বর (যুদ্ধ ভাসান পাদদেশে) ওই স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন সভাপতিত্ব করেন।

 

উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বিমল কুমার কুন্ডু ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রভাত কুমার রায়ের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হোসেন, কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক মছিহুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু তপন কুমার ঘোষ মন্টু, কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রবীণ কুমার দত্ত।

অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে রাজাকার ও হানাদার বাহিনীর হাতে কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের টর্চার সেলে নির্যাতনের শিকার কৃষ্ণপদ দাস ও কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী বুশরা ইবনাত।

 

আলোচনা সভা শেষে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে রাজাকার ও হানাদার বাহিনীর হাতে কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টর্চার সেলে নির্যাতনে আক্রান্ত হওয়া উপজেলার মজিদপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ (বড় ভাই), ঘাঘা গ্রামের মোসলেম উদ্দীন, কন্দর্পপুর গ্রামের আবু তালেব, বারুইহাটি গ্রামের কৃষ্ণপদ দাস, একই গ্রামের শিবুপদ দাস ও গৌর চন্দ্র বিশ্বাসের হাতে শান্তনা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। 

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সজীব সাহা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রব, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আলমগীর হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুপালী রানী, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার পুলোক কুমার সিকদার, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার সুজন কুমার চন্দ্র, উপজেলা সহকারি প্রোগ্রামার আব্দুস সামাদ, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা কেশবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শামীম আখতার মুকুল, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাঈদ, বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ডের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আকমাল আলীসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.