গ্রাম পুলিশ সহ অপর দুই ভাইকে পিটিয়ে জখম!

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় মামলার বাদী মামুন হাওলাদারের তিন ভাইকে আসামী শাহ নেওয়াজ ও অপর আসামীরা পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। এ সময় বাদীর ভাই গ্রাম পুলিশ রাসেল হাওলাদারের সঙ্গে থাকা ৩৩ হাজার ৫’শ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা জানাম আহত রাসেল। আহত গ্রাম পুলিশ রাসেল হাওলাদার,কাওসার ও ফুয়াদকে স্থানীয় ও স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে।
জানাগেছে,গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নে রাজনৈতিক পরিচয়ে বিভিন্ন বাহিনীর নামে গাজীপুর বন্দরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ওই বন্দরের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদের দোকান লুটপাট করে ৬০ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বুধবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামুন হাওলাদার বাদী হয়ে বিএনপি নেতা বাতেন দেওয়ানকে প্রধান আসামী করে ২০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। মামলার বাদী মামুনকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ দেয় বাতেন দেওয়ান ও মামলার আসামীরা এ । কিন্তু বাদী মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করেন। এতে আরো ক্ষুব্দ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলার বাদীর ভাই গ্রাম পুলিশ রাসেল হাওলাদারকে আসামী শাহ নেওয়াজ আকন,নিজাম আকন,আনোয়ার আকন,ফিরোজ মৃধা,সামসেল খাঁন,শাহাবুদ্দিন আকন,নাশির আকন ও রোকন আকন  লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। খবর পেয়ে তার দুই ভাই কাওসার ও ফুয়াদ ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে জখম করে। ওই সময় রাসেলের সঙ্গে থাকা ৩৩ হাজার ৫’শ টাকা তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেন দাবী রাসেলের। আহতদের স্থানীয় ও স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
আহত গ্রাম পুলিশ রাসেল হাওলাদার বলেন, আমি বাড়ী থেকে গাজীপুর বন্দরে যাচ্ছিলাম পথিমধ্যে আমাকে মামলার আসামী শাহ নেওয়াজ আকনের নেতৃত্বে নিজাম আকন সহ অপর আসামীরা  লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমাকে রক্ষায় আমার দুই ভাই এগিয়ে এলে তাদেরও পিটিয়ে জখম করে। তিনি আরো বলেন,আমার কাছে থাকা ৩৩ হাজার ৫’শ টাকা ওরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মামলার আসামী শাহ নেওয়াজ আকনের সঙ্গে তার ফোন নাম্বারে কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.