মোহাম্মদ আককাস আলী মহাদেবপুর প্রতিনিধি : চাঁদাবাজির আখড়া হিসাবে আলোচিত নওগাঁর মহাদেবপুরের কথিত সাংবাদিক কাজী সাঈদ টিটুর ফেসবুক আইডি “মহাদেবপুর দর্পণ”বন্ধের দাবি ভুক্তভোগীদের। জেলায় ভয়ংকর এক চাঁদাবাজির নাম “মহাদেবপুর দর্পণ”। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের নিকট বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, কথিত সাংবাদিক টিটুর ফেসবুক আইডি মহাদেবপুর দর্পণ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এবং সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে লাইভ দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। প্রথমে তিনি মহাদেবপুর দর্পণে লাইভ সম্প্রচার করেন। চাঁদা পেলে সেই লাইভ তুলে লেন। আর যারা চাঁদা দিতে পারে না তাদের সম্প্রচার থেকে যায় মহাদেবপুর দর্পণে। এভাবেই চলছে মহাদেবপুর দর্পণের নিরব চাঁদাবাজি।
মান ইজ্জতের ভয়ে কেউ এই কথিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনা। যদি কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে চায় সঙ্গে সঙ্গে মহাদেবপুর দর্পণে লাইভ দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের মান-সম্মানের ক্ষতি সাধন করে। অথবা মহাদেবপুর দর্পণ নাম ব্যবহার করে মানববন্ধনের আয়োজন করে। এলাকায় চাঁদাবাজির হাতিয়ার মহাদেবপুর দর্পণ ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সিনিয়র সাংবাদিক বরুণ মজুমদার নওগাঁ জেলা প্রশাসকের নিকট মহাদেবপুর দর্পণ বন্ধের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর জের ধরে গত সোমবার (২৪ মার্চ) সাংবাদিক বরুন মজুমদার, আককাস আলী,সাখোয়াত হোসেন তথ্য সংগ্রহের জন্য উপজেলা খাদ্য গুদামের অফিসে যায়। সেই সুযোগে কথিত সাংবাদিক কাজী সাঈদ টিটু,ইউসুফ আলী সুমন,সুহেল রানা পিছন থেকে তথ্য সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের মহাদেবপুরের দর্পণে লাইভ সম্প্রচার করে এবং বরুন মজুমদার ও আককাস আলীকে চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করে। মহাদেবপুর দর্পণে লাইভ দেখে একদল ছাত্রজনতা ওই কথিত সাংবাদিক,মাদকাসক্ত চাঁদাবাজদের ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় এবং তাদের পাতানো ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ হয়।
নাম না বলার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান,কথিত সাংবাদিক সাঈদ টিটু উপজেলা বিএনপি’র ছত্রছাড়ায় থেকে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে না। প্রকাশ থাকে যে,নেট দুনিয়ায় ভাইরাল টিটু মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদার। সব ধরন মাদক সেবনে তিনি আসক্ত।
এ ব্যাপারে ইউএনও মো. আরিফুজ্জামান জানান, টিটু মাদকাসক্ত। তার মাদকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সে আমার অফিসপাড়ায় আসার যোগ্যতা হারিয়েছে।
ভুক্তভোগীরা দ্রুত এই মাদকসেবী চাঁদাবাজকে আইনের আওতায় আনার এবং মহাদেবপুর দর্পণ বন্ধের জোর দাবি জানান।