চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় অভিনেতা এমরান হাসো পরিবারের উপর দুর্বৃত্তদের হামলা!

ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:  চাঁদা দাবির প্রতিবাদ করার অভিযোগে অভিনেতা এমরান হাসো পরিবারের উপর দুর্বৃত্তদের হামলা করা অভিযোগ উঠেছে। মারাত্বক জখম হয়েছেন এমরান হোসেন।
ঘটনাটি নওগাঁয় পত্নীতলা উপজেলার শিহাড়া ইউনিয়নের আমন্ত বাজারে বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সদস্য ও জনপ্রিয় অভিনেতা এমরান হোসেন (হাসো) ও তার পরিবার ভুক্তভোগীর শিকার হন।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে থানা অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে এমরান হোসেনের বাবাকে বাসা থেকে আমন্ত বাজারে ডেকে নিয়ে গিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করতে থাকলে বাজারে স্থানীয়রা এমরান হোসেন বিষয়টা ফোন দিয়ে জানায়, এমরান বাজারে গিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করলে তারা এমরান তার বাবা ও খালাকে হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।
এ বিষয় ভুক্তভোগী এমরান হোসেন বলেন, আমাদের গ্রামে একটি উপ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে যেখানে ডাক্তার সবিউর রহমান চাকরি করে। অভিযুক্ত মজিদুল ইসলাম, হেলাল, কারাম সহ কয়েকজন ব্যক্তি তারা তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তখন বিষয়টি আমার বাবাকে জানায় ডাক্তার সবিউর। আমার বাবা তখন তাদের সাথে কথা বললে তারা আমার বাবার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করে। পরেরদিন আবারও আমার বাবাকে বাজারে ডেকে নিয়ে গিয়ে গালিগালাজ ও মারধর করলে আমি সেখানে গিয়ে বিষয়টি থামানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্ত মজিদুল বলেন আমি বিএনপি করি তোদের সবার মাথা কাটবো বলে হাসুয়া দিয়ে আমার বাবাকে আঘাত করলে আমি সেটা আটকায় তখন আমার হাত কেটে যায়। তখন তারা আমার খালাকে হাসুয়া দিয়ে কোপ মারে ও অনেকেই আমাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে স্হানীয় লোকজন তখন এগিয়ে আসলে আমাদের রক্ষা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী আমন্ত বাজারের বাসিন্দা রাসেল জানান, এমরান ও তার পরিবারকে যেভাবে মারা হয়েছে এইটা ঠিক হয়নি। পুরোটাই তারা অন্যায় ভাবে মেরেছে।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মাহমুদ ইসলাম বলেন, আমি বাসা থেকে বাজারে আসার পর দেখি বাজারে গন্ডগোল হচ্ছে। তখন আমি কাছে গিয়ে দেখি এমরান এর বাবাকে হাসুয়া দিয়ে কোপ মারতেই এমরান হাত দিয়ে হাসুয়া আটকালে তার হাত কেটে যায়। এমরান যদি হাত দিয়ে না ধরতো তাহলে হাসুয়ার কোপ ওর বাবাকে লাগতো।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মজিদুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি সকালে বাজারে এসেছি পরাটা চা খেতে কোন কথা না বলেই এমরানের বাবা জুতা দিয়ে আমাকে মেরেছে।
হাসুয়া দিয়ে এমরান ও তার পরিবারের জঘম করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ঘটনাটি এড়িয়ে যায়।
পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ মোঃ এনায়েতুর রহমান বলেন, উক্ত ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি । নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.