ছাত্রদের একটি যৌক্তিক আন্দোলনকে জামায়াতের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে কি-সরকার

কালের সংবাদ ডেক্স ঃ আওয়ামীলীগ প্রথমে বুঝতে চায়নি যে ছাত্রদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি কত দূর যেতে পারে॥

স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি কাজ করছে না কারন বহুদিনধরে ক্ষমতার চর্চা করতে করতে ক্ষমতাসীন দল এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

নানা পদ, পদক ও ইহজাগতিক সুবিধা পাওয়া নেতা কর্মিবৃন্দ তাঁদের আখের নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় চুপচাপ বসে ভাবছিলেন কি করবে ঐ ছাত্ররা।

ঠিক এ সময় বিএনপি-জামায়াতরা এই আন্দোলনকারীদের ভিতরে ঢুকে ফয়দা নিয়ে ফেলেছে। এখন তারা যতই বলছে যে সবকিছুর পেছনে বিএনপি-জামায়াত কিন্তু জনগনের কিছু অংশ তা বিশ্বাস করছেনা।

মিডিয়াতে দেখাযায় যে তারেক রহমানের নির্দেশে দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে আবার আরো নাম উঠেছে জামায়াত-শিবিরের দিকে। বিএনপিকে তো নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা সরকারের নেই। জামায়াত নিষিদ্ধ হয়েছে কারণ, দলটি নৈতিক-বৈধতা হারিয়েছিল ১৯৭১ সালেই॥

একাত্তরে পাকিস্তানি সৈন্যদের বর্বরোচিত গণহত্যা, নারী নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অনেক অপরাধের সহযোগী হিসেবে তাদের ভূমিকা আমাদের জানা।

ইতিহাস বলে, মুসলিম লীগ, পিডিপি, নেজামে ইসলাম পার্টি, কৃষক শ্রমিক পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে।

১৯৭৬ সালে এক সামরিক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সংবিধানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ করে দেওয়া হলো। তারপর জন্ম নিল বিএনপি। জামায়াতে ইসলামী আবার চলে এল দৃশ্যপটে।

মনেরাখতে হবে আমাদের দেশের রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার রূপটি বড়ই কুৎসিত।

আর একটি লক্ষ্যনীয় যে দল যখন ক্ষমতায় গেছে, তখনই সেই দলই আজীবন ক্ষমতায় থাকারচেষ্টায় মত্ত হয়েছে দেশের সাধারণ জনগনের চিন্তা বাদদিয়ে। তবে আওয়ামীলীগ তা করেনি কিন্তু কিছু নেতা-কর্মির দূর্নীতির কারনে এই দলটিও জনপ্রিয়তা বেশ কিছুটা হারিয়েছে। যা এখন ছাত্র আন্দোলনে প্রতিয়মান হয়।

অতীতের ইতিহাসে দেখাযায় ক্ষমতার জন্য মানুষ শয়তানের সঙ্গেও আঁতাত করে। এখন কি হতে যাচ্ছে তা এখনও ধুম্র জালের মধ্যেই আছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সবচাইতে চরম মুহূর্তে সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করল। ছাত্রদের একটি যৌক্তিক আন্দোলনকে জামায়াতের ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রচার করার কৌশল নিয়েছে সরকার বলে মনে করছে জনগন।

এখন জনগন ভাবছে স্বাধীনতাবিরোধিতার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দলটিকে নিষিদ্ধ করেনি। নিষিদ্ধ করেছে মানুষের নজর মূল সমস্যা থেকে অন্যদিকে ফেরাতে। বর্তমান ক্ষমতার দ্বারা পরিচালিত ‘গণহত্যা’ চাপা দিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.