ছাত্রলীগের নব-নির্বাচিত ইউনিয়ন কমিটির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

রাজিবপুর, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: আজ রবিবার (১৫) জানুয়ারি বিকেলে রাজীবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদনের অভিযোগ উঠেছে রাজিবপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।  সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তোলেন রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতারা।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কোদালকাটি  ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পদত্যাগী মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ সুজন ও ফরিদুল ইসলাম।
তারা বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি কোনো ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই টাকার বিনিময়ে নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং পদে রয়েছে জামায়াত-বিএনপি পরিবারের সন্তানরা। আমাদের কাছেও তারা টাকা দাবি করে । আমাদেরকে  বিভিন্নভাবে টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে । আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাদেরকে ভালো পোস্ট দেওয়া হয়নি এবং কমিটিতেও রাখা হয়নি ।
সদ্য পদত্যাগী সুজন বলেন, “এসব অনিয়মের প্রতিবাদে আমি কমিটি অনুমোদনের পরপরই পদত্যাগ করি।”  দীর্ঘ দিন ধরে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছি । আমাকে যে পদ দেওয়া হয়েছে, তা আমি মনে করি আমাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে যারা ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিল না তাদের কে মূল ধারার পদ দেওয়া হয়েছে। আমি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এর সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাজিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ খাইরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ একটি বিশাল সংগঠন। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে কমিটিগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে । অর্থের মাধ্যমে কমিটি দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট ।
রাজিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বায়েজিদ ইসলাম (বিজয়) বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য অনেকেই সিভি পাঠিয়েছে সবাইকে তো আর পদ দেওয়া যায় না। আমরা একজন সভাপতি ও একজন কে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করি। মূল পদ না পেয়ে হয়ত তারা পদত্যাগ করছে। টাকা পয়সার মাধ্যমে কমিটি দেওয়া হয়নি এমন কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না। একটি কুচক্রী মহল আমাদের নামে বদনাম ছড়াচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.