মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ জামাত বিএনপির বিরুদ্ধে রাজপথের লড়াকু সৈনিক পরীক্ষিত মুজিব আদর্শের সৈনিক শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় উপজেলার সাধারন মানুষ। সীমান্ত উপজেলা শার্শার মানুষ মনে করে জামাত বিএনপির জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে শত বাধা বিপত্তি মামলা হামলার ভয় না করে জীবনের বাজি রেখে রাজপথে ছিলেন এই ত্যাগি নেতা। এছাড়া যুবলীগের এই নেতার সহদর বড় ভাই আলহাজ্ব নুরুজ্জামানও ছিলেন একজন পরীক্ষিত ত্যাগি আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি সকল লোভ লালসার উর্দ্ধে থেকে উপজেলার সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ দিন।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সাধারন ভোটারদের সাথে আলোচনা কালে তারা বিভিন্ন চা ষ্টলে, মুদি দোকানে বসে জানায় শার্শা উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে একমাত্র সুযোগ্য প্রার্থী যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান। তিনি ছাড়া যারা তার সাথে একই দলের নেতারা উপজেলা নির্বাচনে লড়বেন বলে মনোনায়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা রয়েছে বিতর্কীত। শার্শার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মিন্নু এমনিতেই বয়স হয়েছে। তারপর উনি একাধিক দল বদলের খেলায় নিয়োজিত। সে জামাত বিএনপি জাতীয় পার্টি মুসলিমলীগ বর্তমানে আওয়ামীলীগ সহ কোন দলে যোগ দিতে দ্বিধাবোধ করেনি। তিনি একজন নিতীভ্রষ্ট লোক। সে ক্ষমতার জন্য দলবদলের ডিগবাজি খেলায় মত্ত। কাজেই তাকে ভোট দেওয়ার প্রশ্ন আসে না। অপরদিকে সাবেক শার্শা ইউপি চেয়ারম্যান বর্তমান শীর্ষ জনপ্রতিনিধির প্রিয়ভাজন ব্যক্তি সোহরাব হোসেন একজন চিহিৃত সন্ত্রাসী । তার নামে রয়েছে অস্ত্র মামলা। এছাড়া সে বিএনপি থেকে এসেছে। সে নাভারন মোড়ে মতিয়া চৌধুরীর গাড়ি ভাংগচুর মঞ্চ ভাংগা অগ্নি সংযোগ সহ নানা ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত। এছ্ড়াা সে একজন স্বর্ণ চোরাচালানি বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
এদিকে পরিচ্ছন্ন শিক্ষিত মার্জিত বর্তমান আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নাভারন ডিগ্রি কলেজের অধ্যাক্ষ ইব্রাহীম খলিলকে নিয়েও রয়েছে জনগনের সংশয়। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত। কিন্তু কোনদিন তিনি মাঠে ময়দানে গিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান নাই। এছাড়া তিনি একটি কলেজের দায়িত্বে থেকে কেন বা কি কারনে নির্বাচন এর মাঠে আসছে। কারন ওখানে ওনার যথেষ্ট সন্মান মর্যদা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মাঠে ময়দানে থাকা নেতা একমাত্র নেতা যুবলীগের সভাপতি অহিদকে মনে করেন সাধারন মানুষ।
শার্শা আওয়ামীলীগের একটি অংশ মনে করেন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে বর্তমান চেয়ারম্যানই ভাল। আবার বড় একটি অংশ মনে করেন বর্তমান চেয়ারম্যান এর যথেষ্ট বয়স হয়েছে। তিনি কয়েকবার এই জনপদে নির্বাচিত ও হয়েছে। সেই অনুযায়ী তিনি প্রত্যান্তঞ্চলে কাজ করতে পারে নাই। এছাড়া ইতিপুর্বে জামাত বিএনপির নেতারা নির্বাচনের মাঠে না থাকায় তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এবার নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দিতা মুলক। সেই ক্ষেত্রে তার মাঠে টিকে থাকা সম্ভব হবে না। এদিকে বেনাপোলের বাহাদুরপুর, পুটখালী, ও বেনাপোল ইউনিয়ন এর সাধারন মানুষের শতকরা ৯০% ভোট পাবে অহিদদুজ্জামান অহিদ বলে মানে করে। এছাড়া একটি পৌরসভা ও বাকি ৮ টি ইউনিয়নের ও ৬০-৭০% ভোট তিনি পাবেন বলে অনেকে মনে করেন। বাকি ভোট অন্যান্য প্রতিনিধিদের মাঝে বন্টন হবে।
শার্শার সচেতন মহল মনে করেন, যারা রাজপথে দীর্ঘদিন মাঠে ছিলেন, আওয়ামীলীগের দুর্দিনে যে সব নেতারা কাজ করেছেন তাদের নির্বাচিত করে জনগনের সেবা করতে দেওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে উপজেলা যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান এর বিকল্প কেউ নেই।