জামানত হারাচ্ছেন পাঁচবিবি উপজেলার নির্বাচনে পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থী

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়পুরহাটে পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৬ জন প্রার্থীর ৫ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এই ৫ জনের সঙ্গে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত হারাচ্ছেন আরেক প্রার্থী।
মঙ্গলবার(২১মে)ভোট গ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট যদি মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম হয়, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৫ জন প্রার্থীই জামানত হারাতে যাচ্ছেন। একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪ হাজার ৬৪৬ জন। ৬৯টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮০ হাজার ৮১৪ টি। এর ১৫ শতাংশ ভোট হচ্ছে ১২ হাজার ১২২টি। যা পাননি ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী।
জামানত হারতে যাওয়া ৫ জন প্রার্থীই হচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মন্ডল (মোটারসাইকেল প্রতীক-১১ হাজার ৮০০ ভোট), পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস প্রতীক-১১ হাজার ৭৪৭ ভোট),  জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহিদুল আলম বেনু (কৈ মাছ প্রতীক-৯ হাজার ১৭০ ভোট), বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কুসুম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম প্রতীক-৪ হাজার ৬ ভোট) এবং পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী (টেলিফোন প্রতীক- এক হাজার ৫৭৬ ভোট)।
পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক নারী প্রার্থী সাবেকুন নাহার ওরফে শিখা ২৬ হাজার ৫০৯ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি প্রথমবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল শহীদ মন্ডল মোটারসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৮০০ ভোট।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের একজন জামানত হারাচ্ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৮০ হাজার ৭৩৮টি। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট ১২ হাজার ৭৩৮টি পাননি এক প্রার্থী মৌসুমী আকতার। এখানে রেবেকা সুলতানা ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৩২ হাজার ৪১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজিনারা টুনি বৈদ্যুতিক পাখা নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯০৩ ভোট।

Leave a Reply

Your email address will not be published.