জয়পুরহাটে আক্কেলপুরে বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

মো:মোকাররম হোসাইন জয়পুরহাট জেলা  প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় গত কয়েক দিনের হাড় কাঁপানো শৈত্যপ্রবাহ এবং পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না থাকার ফলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত ঘন কুয়াশা কারণে উপজেলার মানুষের রোগ বালাই যেমনটা বেড়েছে তেমনি, বীজতলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়া এ অবস্থায় চলতে থাকলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে বলে ধারনা করছে এলাকার কৃষকেরা। বর্তমান আবহাওয়া ও শৈতপ্রবাহের কারনে বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে পড়ায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আক্কেলপুর উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় ‘৫শত ৩০’ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের বীজতলা বপণ করা হয়েছে। ধান কাটা মাড়া, আলু উত্তোলন শেষে ইরি-বোরো আবাদের ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছে কৃষকরা। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ইরি-বোরো বীজ বপণ করা হয়েছে প্রায় এক মাস আগে।

গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের প্রভাবে কোল্ড ইনজুরিতে পড়ায় বীজতলা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে এলাকার কৃষকরা। এভাবে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত চলতে থাকলে বীজতলা ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। প্রচন্ড কুয়াশা আর শীতের কারনে কৃষকের সদ্য বপণকৃত বীজতলা লালচে, হলুদ হয়ে যাচ্ছে অনেক স্থানে বীজতলা মরা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে আক্কেলপুরের বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে দেখা যায় বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়েনের কৃষক পাইলট জানান, কয়েক দিনের ঘন কুয়াশার কারনে বীজতলা লালচে হয়ে যাচ্ছে। ১০ শতাংশ জমিতে বীজতলা তৈরি করেছি। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় আমার প্রায় ১০ শতাংশ বীজতলা নষ্ট হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ তলার উপরে পলিথিন দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে ।

উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ আবু তাহের কাজী বলেন এমন করে কুয়াশা আর আবহওয়া খারাপ থাকলে এবছর ইরি-বোরোর বীজতলা পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইমরান হোসেন জানান, বর্তমানে শৈতপ্রবাহের কারনে আক্কেলপুর উপজেলার প্রায় ১ হেক্টর জমি বীজতলার কোল্ড ইনজুরিতে পড়েছে। কোল্ড ইনজুরি থেকে বীজতলাকে রক্ষার জন্য ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখা এবং একদিন পর পর বীজতলার পানি পাল্টে দেয়াসহ কৃষকদের বীজতলায় সাদা পলিথিন ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.