জয়পুরহাটে বিষ পানে এক যুবতীর মৃত্যু

 জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বিষ পানে নাফিসা আক্তার(১৮)নামের এক যুবতীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত ওই যুবতীর উপজেলার ঘুগইল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুর রহমান মাসুদ এর কন্যা।
পরিবার ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে যে ,ঘুগইল গ্রামে বেড়া উঠা নাফিসা আক্তার ক্ষেতলাল খোশবদন জি,ইউ দ্বিমুখী আলিম মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার বাবা আব্দুর রহমান মাসুদ উপজেলার আটিদাশড়া মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক।নাফিসা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক(মাথার)সমস্যায় ভুগছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।মাঝে মধ্যে ভালো থাকেন আবার মাথার সমস্যায় ভোগেন। গত কয়েকদিন ধরে আবারো তার মাথার সমস্যা দেখা দেয়।শনিবার বেলা ২.৩০ এর সময় তার নিজ বাড়িতে জমিতে দেওয়া বিশাক্ত কীটনাশক খেয়ে ফেলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশী হোসনে আরাসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, মেয়েটার মূলত মাথার সমস্যা ছিল। দীর্ঘদিন ধরে পরিবার ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করাচ্ছে। আজ দুপুর এর দিকে তার মাকে বলে নামাজ পড়বো, বলে সে নামাজ পড়তে গিয়ে জমিতে দেওয়া ঔষধ খেয়ে ফেলে তারপর তার মাকে বলে মা আমি কি যেন খেয়ে ফেলেছি আমার গলা খুব জ্বলতেছে। পরে তার মা দৌড়ে কাছে এসে হাতে ঔষধ এর বোতল দেখতে পায়। তখন চিৎকার চেচামেচিতে সবাই ছুটে আসে এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মানসিক সমস্যা থাকার কারনে বিষ খাওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।পারিবারিক কিংবা প্রেম ঘটিত কোন সমস্যা ছিল না। সমস্যা মেয়েটার মাথার।
প্রতিবেশী গাজিউল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটার মানসিক সমস্যা ছিল এবং তার পরিবার বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাও করতেছে। মাথার সমস্যার কারনে সে বিষ খেয়ে ফেলেছে। এছাড়া অন্য কোন কারন নেই।
এ  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে, ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আনোয়ার হোসেন বলেন, আত্মহত্যাকারী মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ তাদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.