নওগাঁর সাপাহারে শত্রুতার জেরে লাথি মেরে অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাত করার অভিযোগ

জাকির হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সাপাহারে শত্রুতার জেরে সারমিন(২০) নামে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে।

গত (৯ফেব্রুয়ারি ) সকালে নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার পাতারী ইউনিয়নের তিলনী শিসুপুকুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ২৭ফেব্রুয়ারি ওই নারীর পিতা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে জেলা কোটে তিলনী শিসুপুকুর গ্রামের মৃত্যু খালেকের ছেলে হাবিবুর রহমান (৫০)কে প্রধান আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন,অনন্য আসামিরা হলেন,হামেদা (৪০)মিলন(৩৫) আলিয়া(৪০) জুলেখা(২৫) নামে চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে সর্ব সাং তিলনী শিসুপুকুর

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী আসাদুর রহমানের সঙ্গে প্রতিবেশী হাবিবুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ফেব্রুয়ারি সকালে ওই নারী বাড়ির পাশে ছোট্ট বাচ্চার প্রস্রাবকে কেন্দ্র করে, তাদের মধ্যে কথা কাটকাটি হলে এক পর্যায়ে হাবিবুর ওই নারীকে মারধর এবং পেটে লাথি মারেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই নারী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান এবং ব্লেডিং শুরু হয়।

তাৎক্ষণিক প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে দুইদিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শ্যাযার জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রেফার্ড করে। সেখানে অবস্থা আশঙ্কা জনক থাকার কারণে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড এবং সেখানে অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাত হয়।

ভুক্তভোগী শারমিন প্রতিবেদককে বলেন, আমার অন্তঃসত্তা গর্ভপাত হওয়ার পর দীর্ঘদিন মেডিকেলে থাকার পরও নিজ বাসায় বসবাস করতে পারছি না আমার বাড়িতে তালা দিয়ে রেখেছে । আমার গর্ভের সন্তানকে মেরে ফেলেছে তারা, তার সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। প্রতিবেশী সেরিনা বেগম সহ অনেকেই জানাই আমরা না থাকলে হয়তোবা সেদিন ঘটনাস্থলেই সারমিন মারা যেত। আমরা তাকে উদ্ধার করে মেডিকেলে পাঠিয়েছি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

পিবিআই কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মুঠো ফোনে বলেন, মামলাটি তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published.