নওগাঁয় মানবিক পুলিশের পদক্ষেপে গৃহবধূ ফিরে পেলো স্বামীর সংসার, অভিযুক্ত শ্রীঘড়ে..!

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রথমে সোস্যাল মিডিয়া ‘ফেসবুকে’ পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে দু’ জনের মাঝে চলছিলো হাই-হ্যালো। এভাবে চলার মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ঘড়ে অন্তসত্বা স্ত্রী থাকার পরও হাবিবুর রহমান (২৪) নামের এক যুবক অসৎ উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে গৃহবধূ (১৯) কে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদ পাতেন। ফোনেই চলে প্রেমালাপ। এক পর্যায়ে বিয়ে করার কথা বলে ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে নিয়ে পাড়ি জমাবেন অজানা কোন স্থানে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফোনে যোগাযোগ করে ঘটনার দিন অন্তসত্বা স্ত্রী সহ পরিবারের কাউকে না জানিয়ে প্রেমিক হাবিবুর রহমান (২৪)

নিজ বাড়ি মান্দা থেকে বের হয়ে আনুমানিক ১৯ কিঃ মিঃ দূরে মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় চৌমাশিয়া বাজারে এসে অবস্থান করেন এবং ফোনে গৃহবধূ (১৯) ডেকে নিয়ে বাজারে প্রথম বারের মতো দু’জন একে অপর কে সরাসরি দাখেন এবং পূর্বের সিদ্ধান্ত মোতাবেক একটি অটো-বাইক যোগে পালাতে গিয়ে নওগাঁ-রাজশাহী সড়কের খোর্দ্দনারায়নপুর নামক স্থানে পৌছালো গৃহবধূ’র স্বামী নিজেই স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিক কে আটক করে নিজ গ্রামে নিয়ে যান। এরপর কয়েক ঘন্টাধরে (ত্রিমুখি) প্রেমিকের স্বজন, গৃহবধূর পিতার পরিবার ও স্বামীর পরিবার ঘটনাটি সমাধান এর চেষ্টা চালিয়ে বার্থ হোন।

ঐ সময় গৃহবধূকে তার স্বামীও বাড়িতে তুলতে রাজি হয়নি। অপরদিকে কথিত প্রেমিকও তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। যার ফলে খবর দেওয়া হয় নিকটস্থ্য নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ কে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে কথিত প্রেমিক হাবিবুর রহমান ও গৃহবধূ দু’জন কেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ ও তদন্ত (ওসি) পৃথক ভাবে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, প্রেমিক বিবাহীত এবং তার ঘরে অন্তসত্বা স্ত্রী থাকার পরও সে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের গৃহবধূ (ভিকটিম) কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো, তবে তাকে সে বিয়ে করবে না, তার উদ্দশ্যে ছিলো অসৎ। অপরদিকে (ভিকটিম) গৃহবধূ কে তার স্বামী খু্ব ভালো বাসেন এবং তিনি কোন কিছু না বুঝেই স্বামীর বাড়ি থেকে বের হোন, তবে তার স্বামী খুবই ভালো মানুষ জানিয়ে গৃহবধূ আরো বলেন, হাবিবুর রহমান আমার সরলতার সুযোগ নিয়েছে, আমি তার শাস্তি চাই, আমি আমার স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাই বলেও পুলিশকে জানান এবং এঘটনায় (ভিকটিম) গৃহবধূ নিজেই বাদি হয়ে থানায় কথিত প্রেমিক হাবিবুর রহমান কে আসামী করে মামলা দাযের করেন। সম্পতি এঘটনাটি ঘটে নওগাঁর মহাদেবপুরে।

স্থানিয় সুত্র জানায়, গত বুধবার ১৫ মার্চ সকাল ১০ টারদিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার নুরুল্যাবাদ গ্রামের ছবের আলীর ছেলে কথিত প্রেমিক

হাবিবুর রহমান (২৪) মহাদেবপুর উপজেলার হাট-চকগৌরী এলাকার এক গৃহবধূকে মোবাইল ফোনে চৌমাশিয়া নওহাটামোড়ে ডেকে নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অটো-বাইক যোগে অজানার উদ্দশ্যে নিয়ে যাওয়াকালে (ভিকটিম) গৃহবধূর স্বামী তাদেরকে আটক করেন। এঘটনায় কয়েক ঘন্টাধরে দফায় দফায় পারিবারিক ভাবে আপোস-মিমাংসার চেষ্টা চালিয়ে বার্থ হোন, ঐ সময় গৃহবধূকে ভুল বুঝে তার স্বামী ঘড়ে তুলতেও রাজি হয়নি অপরদিকে  কথিত প্রেমিক ও তাকে বিয়ে করবেনা বলে জানিয়ে দেন।

এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের দু’জনকে উদ্ধার পূর্বক থানা হেফাজতে নেওয়ার পর মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর ও (তদন্ত) ওসি আবুল কালাম আজাদ পূথক ভাবে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদে ‘মোবাইল ফোনে সম্পর্ক, সেই সম্পর্ক থেকে ঘটনার দিনই তাদের প্রথম দেখা ও অভিযুক্ত যুবক (বিয়ে করবেনা) সে অসৎ উদ্দশ্যে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক গড়ে গৃহবধূকে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে শিকার করেন। এসময় ভিকটিম জানান, তার স্বামী তাকে খুবই ভালো বাসেন এবং সে তার ভুল বুজতে পেরে স্বামীর ঘড়ে ফেরার আকুতি জানিয়ে (ভিকটিম) নিজেই বাদি হয়ে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে ভিকটিম গৃহবধূর স্বামী ও তার শ্বশুড় সহ স্বজনরা থানায় এসে মূল ঘটনা জানা ও শুনার পরই স্বামী ও শ্বশুড় নিজেই গৃহবধূকে নিজ বাড়িতে নিতে চাইলে, স্বামির হেফাজতে গৃহবধূকে দেয়া হয়।

পুলিশ কর্মকর্তাদের মানবিক ভূমিয়ার কারনে এভাবেই টিকে যায় একটি পরিবার। এলাকার সচেতন অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন থানা পুলিশের এমন উদ্যোগকে। গৃহবধূর স্বামী শুক্রবার রাতে মুঠোফোনে প্রতিবেদক কে জানান, আমার স্ত্রী সামান্য একটি ভুল করেছিলো, যা পুলিশের মাধ্যমে আমি বুজতে পেরেছি। আমার স্ত্রী আমার কাছেই (বাড়িতে) সংসার করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.