নড়াইল পুলিশ লাইনস্ অস্ত্রাগার প্রাঙ্গণে নবনির্মিত এর নামফলক উন্মোচন ও চার থানার অফিসার ইনচার্জদের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সম্পন্ন

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল পুলিশ লাইনস্ অস্ত্রাগার প্রাঙ্গণে নবনির্মিত এর নামফলক উন্মোচন ও চার থানার অফিসার ইনচার্জদের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সম্পন্ন করেন পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান।
নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ মেহেদী হাসান’র নির্দেশনায় পুলিশ লাইনস্ অস্ত্রাগার প্রাঙ্গণে “গান ক্লিয়ারিং পয়েন্ট তৈরি করা হয়। ডিউটি শেষ করে অস্ত্রাগারে অস্ত্র জমা দানের পূর্বে ম্যাগাজিন খুলে গান ক্লিয়ারিং করতে হয়। কিন্তু নড়াইল পুলিশ লাইনস্ এ গান ক্লিয়ারিং এর জন্য নির্ধারিত কোন স্থান না থাকায় পুলিশ সুপার এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন এরই ধারাবাহিকতায়।
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, রবিবার (৯ জুন) গান ক্লিয়ারিং পয়েন্ট” এর নামফলক উন্মোচন করে শুভ উদ্বোধন করা হয়। এখন থেকে প্রত্যেক পুলিশ সদস্য ডিউটি শেষে এখানে গান ক্লিয়ারিং করে অস্ত্রাগারে অস্ত্র জমা দিবে। অতঃপর পুলিশ সুপার উপস্থিত সকলের সাথে দোয়া ও মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত; তারেক আল মেহেদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্); মোঃ দোলন মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল); প্রণব কুমার সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত; সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, জেলা বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক, ইন্সপেক্টর ক্রাইম, জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক, কোর্ট ইন্সপেক্টর, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, আর আই, আর ও আইসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, পুলিশ সুপার’র সাথে অফিসার ইনচার্জদের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোহাঃ মেহেদী হাসান’র সাথে চার থানার অফিসার ইনচার্জগণের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি(এপিএ) সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (৯ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপার’র কার্যালয়ে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
জুলাই ২০২৪ হতে জুন ২০২৫ পর্যন্ত নড়াইল জেলার ০৪ টি থানা কি কি কাজ করবে তা এই চুক্তিতে লিপিবদ্ধ করা আছে। প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জ পৃথক পৃথকভাবে পুলিশ সুপার’র সাথে এপিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সরকারি কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রবর্তন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মহোদয় বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ইত্যাদি আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অন্যতম অনুষঙ্গ।” তিনি এপিএ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পেশাদারিত্বের সাথে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন। এ সময় তারেক আল মেহেদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) ও জেলা এপিএ ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা  উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.