নিয়ামতপুরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা!

জাকির হোসেন, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর নিয়ামতপুরে উপজেলা সদরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন মেধাবী শিক্ষার্থীরা। আসন সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় লটারীতে ভর্তি নেওয়ায় সুযোগ পাচ্ছেন না অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী। এতে চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সাধারণ অভিভাবকরা।
বিদ্যালয় ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরে নিয়ামতপুর সরকারি বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে শতাধিকেরও বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেন। গত বছর পর্যন্ত বিদ্যালয়টিতে ৬০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও এবার ভর্তি করানো হয় ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীর আসন কম থাকায় অনেকেই ভর্তি হতে পারেন নি। উপজেলা সদরে আর কোন উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় প্রাইভেট স্কুলের প্রতি ঝুঁকছেন অভিভাবকরা।
উপজেলা ল্যাবরোটরি স্কুলের শিক্ষার্থী শামিন মাহমুদ চৌধুরীর অভিভাবক সুমি মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে  বলেন, গত বছর ৬০ জন করে ভর্তি করা হয় এবার ৫৫ জন ভর্তি করা হয়েছে। আসন সংখ্যা কম থাকায় আমার ছেলে লটারিতে সুযোগ পায়নি। অপেক্ষামান তালিকায় ৯ নম্বরে থাকলেও ভর্তির সুযোগ হয়নি। তিনি আরও বলেন, এ প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি চালু করা দরকার। তাছাড়া আসন সংখ্যা না বাড়ালে প্রাইভেট স্কুলের দৌরাত্ম্য বাড়তে পারে।
আরেক মেধাবী শিক্ষার্থী আশিফি মেহজাবিনের অভিভাবক আফজাল হোসেন বলেন, আমার মেয়ে সরকারি স্কুলে সুযোগ না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমরা দ্রুত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ বলেন, সরকারি স্কুলে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শাখা বাড়িয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করানো প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান তিনি।
নিয়ামতপুর সরকারি বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ৫৫ জন ভর্তির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা সে মোতাবেক ভর্তি করিয়েছি। তার মধ্যে সরকারি চাকুরিজীবীদের কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ ভাগ। দিন দিন ক্লাসে ভর্তির পরিমাণ কমে গেলে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে যেতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নিয়ামতপুর সরকারি বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ইমতিয়াজ মোরশেদ বলেন, শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে যেমন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে তেমনভাবেই ভর্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। অনেক অভিভাবক আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন কিন্তু নির্দেশনার বাইরে গিয়ে আমাদের করার কিছু নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.