ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, পত্নীতলা (নওগাঁ): নওগাঁর পত্নীতলায় সুমাইয়া আকতার (২২) নামে এক গৃহিণীর বাবার বাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মিন্টু।
পারিবারিক ও স্থানীয় এলাকাবাসী এবং হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়া উপজেলার নজিপুর ইউনিয়নের বাবনাবাজ গ্রামের শহিদুল ইসলামের কন্যা। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পরিবারের সকলের অজান্তে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে দড়ি ও ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা সুমাইয়ার আত্মচিৎকার টের পায়। এসময়ে প্রতিবেশিরা ঘটনা জানতে পেরে ছুটে আসে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুমাইয়াকে নেওয়া হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সুমাইয়া বিয়ের পর বাবার বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে (ঘরজামাই) বসবাস করে আসছেন। ইতোপূর্বে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়। কিন্তু, পরিবার তা মেনে না নেওয়ায় প্রশাসনিক সহযোগিতা নিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে সুমাইয়াকে প্রায় দেড় মাস পর উদ্ধার করে। তার পর কিছুদিন পরেই পারিবারিক ভাবে সুমাইয়াকে বিবাহ দেন ও নিজ বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে রাখেন (সুমাইয়ার স্বামীকে)। ঘরজামাই নিয়ে ভালই কাটছিলো সুমাইয়ার দাম্পত্য জীবন। মাঝে মধ্যে মায়ের সাথে পারিবারিক কাজে বনিবনা হয়নি। সেই মায়ের সাথে অভিমানে এমন ঘটনাটি ঘটেছে নাকি সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার কারণে পরপারে পাড়ি জমান। নাকি এটি হত্যা? এ নিয়ে রহস্যময় মৃত্যুর জন্ম নিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ মো. এনায়েতুর রহমান বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য সুমাইয়ার লাশ নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে রোববার দুপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সুমাইয়ার রহস্যজনক মৃত্যু কারণে বিশেষ তদন্ত পূর্বক ও সুরতহাল প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত মৃত্যুরহস্য জানা যাবে।