বগুড়া জেলা প্রতিনিধি, সিফাত আল বখতিয়ারঃ ক্ষমতার বলে বগুড়া (আইএইচ টি) শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগ নেতা সজল ঘোষ নির্যাতন করতো। রাতে সজল ঘোষের হাত পা মালিশ থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত তার সাথে রাতে সময় কাটাতে হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র না হয়েও থাকতেন কলেজের হোস্টেল নিয়ন্ত্রণ করতেন। কেউ তার কথা না শুনলে শিক্ষার্থীদের মারধর করতেন। ছুরি-চাকু দেখিয়ে ভয় দেখানোসহ আরও অনেক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
এক শিক্ষার্থী জানান, সজল ঘোষের ভয়ে দীর্ঘ চার মাস কলেজে ক্লাস করতে পারেনি। সজল ঘোষের সাথে ছাত্রলীগের মিছিল করতে হবে শিক্ষার্থী জানান তার মায়ের অসুস্থতার কারণে সে আসতে পারেনি। পরে শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার করেন এবং প্রিন্সিপাল এর কাছে অভিযোগ করেন সে সিনিয়র আপুদের ইভটিচিং করেছেন।
রাজনৈতিক পরিচয়ে বগুড়ায় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচ টি) ঘাঁটি গাড়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজল ঘোষ । তিনি বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
ছাত্রলীগ নেতা সজল ঘোষ এর বিচার ও আই এইচ টি”র প্রিন্সিপাল কে অপসারণের জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে প্রশাসনের বৈঠক হয়। কিন্তু পুলিশ সজল ঘোষ এর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শারাফত ইসলাম বলেন, এক মামলায় একাধিক বাদী হওয়ার সুযোগ নেই। কোনো একজন মামলায় বাদী হবে তা তাদের কে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান,সজল ঘোষ এবং প্রিন্সিপালের আর্থিক সম্পর্ক। শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা উঠিয়ে যা সমানভাবে প্রিন্সিপাল এবং সজল ঘোষ আত্মসাৎ করতেন। সজল ঘোষ পিকনিকের নামে শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা উঠিয়ে মাদক সেবন এবং অনৈতিক কাজ করতেন ক্যাম্পাস হল কক্ষে।
তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষার্থীরা ১০ হাজার টাকা দিলে আলাদা কক্ষে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। যেসব শিক্ষার্থী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাদের নাম রোল প্রিন্সিপালের কাছে দেওয়া হতো এবং ঐসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় ফেল করে দেয়া হয়। সিট বাণিজ্য থেকে শুরু করে প্রিন্সিপালের ইশারায় এইসব অনৈতিক কাজ করতেন সজল ঘোষ। তিনি শিক্ষার্থী না হয়ে ২১৮ নম্বর হল কক্ষ দখল করে থাকেন।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব সাহা বলেন, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সজল ঘোষ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।