বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর বদলগাছীতে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির টাকা আত্নসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়,উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের অকরবাড়ী এলাকার সোলেমানের আলীর ছেলে রেজ্জাক পার্শ্ববর্তী আধাইপুর দেবনাথ পাড়ার শ্রী হৃদয়ের স্ত্রী রুহুল্লা কাছ থেকে একটা বকনা গরু আদি নেয়।
কয়েক দিন পূর্বে রাতে হঠাৎ গরুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। গরু লালনপালনকারী রেজ্জাক ঐ রাতেই গরুর মালিক রহুল্লাকে খবর দিলে গরুর মূলমালিক রহুল্লা ঔষুধ নিয়ে এসে আদিওয়ালাকে দেয়।পরের দিন সকালে অসুস্থ গরু স্থানীয়দের সহযোগীতায় জবাই করে ৪শত টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করে আদিওয়ালা।
মুলমালিককে না জানিয়ে গরু জবাই করায় গরুর মালিক শ্রী রহুল্লা আদিওয়ালার উপর চড়াও হয়। বিষয়টি মিমাংসা জন্য মহিলা ইউপি সদস্যর স্বামী শ্রী সত্তীন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম চটি ঘটনাস্থল
আসেন।
গরুর মাংস বিক্রির ১৭ হাজার টাকার মধ্যে ৪হাজার টাকা গরুর লালনপালন কারী রেজ্জাক কে দেওয়া হয়। এক হাজার টাকা মেম্বার এর সেবা ফি বাবদ রেখে দেয়।বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২হাজার টাকা গরুর মূলমালিক কে দিতে চাইলে মালিক রহুল্লা টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানান। রহুল্লা আদিওয়ালার কাছে ঐ জবাইকৃত গরুর বদলে একটি গরু নেওয়ার দাবি তোলেন।
এসময় স্থানীয় মহিলা মেম্বার এর স্বামী সত্তীনএর যোগসাজশে ইউপি সদস্য আশরাফুল (চটি) সূকৌশলে ফাঁকা কাগজে গরুর মালিকের সাক্ষর নেয়। কাগজে সাক্ষর নেওয়ার পর ১২হাজার টাকা পকেটে করে নিয়ে চলে যায় ঐ মেম্বার।
ঘটনার কয়েক দিন পর গরুর মালিক রহুল্লা তার ভাগের ১২হাজার টাকা ঐ ইউপি সদস্যর কাছে নিতে গেলে ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম ( চটি) তালবাহনা শুরু করে। এক পর্যায়ে ঐ ইউপি সদস্য রহুল্লা কে বলেন কিছু টাকা খরচ হয়েছে আর বাঁকি টাকা অন্যত্র হস্তান্তর হয়েছে বলে নানা রকম তালবাহনা করেন।
এসময় গবাদিপশুর ঐ মালিক মেম্বারের কাছে তার ভাগের টাকা না পেয়ে ভারাক্রান্ত মনে বাড়িতে ফিরে যায়।
এবিষয়ে গরুর মালিক রহুল্লা বলেন, আমাদের সনাতন ধর্মে গরুকে দেবতা মানা হয়। আমাকে না জানিয়ে ওরা গরু জবাই করেছে তাই ক্ষোভে আমি সেদিন মাংস বিক্রির টাকা নেয়নি।
কিন্তু পরে চটি মেম্বার এর কাছে মাংস বিক্রির আমার ভাগের টাকা নিতে গেলে মেম্বার আমাকে টাকা না দিয়ে তালবাহনা করে।আমি গরীব মানুষ ঐ টাকা পেলে আমার অনেক উপকার হবে।
মহিলা মেম্বার এর স্বামী সত্তীন বলেন,অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির ১৭হাজার টাকা বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক ভাগ টাকা আদিয়ার কে দেওয়া হয় আর তিন ভাগ টাকা মূলমালিক কে দিতে চাইলে সে গরু নেওয়ার দাবি করে চলে যান।
তার ভাগের ১২হাজার টাকা ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম এর কাছে গচ্ছিত রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম (চটি)বলেন,গরু অসুস্থ হলে আদিওয়ালা রেজ্জাক গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করে।মূলমালিক রহুল্লা সনাতন ধর্মের মানুষ হওয়ায় গরু জবাই এর বিষয়টি নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরে।
স্থানীয় মহিলা মেম্বারের স্বামী কে নিয়ে আমি সেখানে গিয়ে দুই পক্ষ কে ডেকে নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করি।তারা আপোষনামার কাগজে সাক্ষর ও করেছে। রহুল্লার ভাগের টাকা আমার কাছে গচ্ছিত ছিল এবং সেই টাকার কিছু টাকা আমার খরচ হয়েছে আর বাঁকি টাকা আমি বিভিন্ন যায়গায় দান করেছি।
এ বিষয়ে আধাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম পল্টন বলেন,চটি মেম্বারের ঘটনাটি আমি শুনেছি, তদন্তে প্রমাণিত হলে ঐ মেম্বার এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।