মোঃ এমদাদুল হক দুলু, বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর বদলগাছীতে দলিল লেখক সমিতির নামে গ্রহিতার নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করার দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন উপজেলার সচেতন নাগরিকগণ। গত ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এই আবেদন পত্র জমা দেওয়া হয়। আবেদন সূত্রে জানা যায়, বদলগাছী উপজেলা ভূমি রেজিষ্ট্রেশনের জন্য সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অধীন দলিল লেখক সমিতি রয়েছে। ভূমি রেজিষ্ট্রেশন কাজ সম্পন্ন করতে দলিল মূল্যের ৯% অর্থ স্ট্যাম্প ও ফি হিসেবে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হয়। কিন্তু দলিল লেখক সমিতির নামে আরো অতিরিক্ত ৩% – ৫% অর্থ না দিলে ভূমি রেজিষ্ট্রেশন কাজ সম্পন্ন হয়না। এমনকি সমিতির নির্দিষ্ট সাংকেতিক চিহ্ন না থাকলে ঐ দলিলটি আমলে নেন না সাবরেজিস্ট্রার সাহেব। সমিতির ৫০/৬০ লোকের কাছে যেন গোটা বদলগাছী উপজেলার ৩ লক্ষ মানুষ জিম্মি। আবেদনে আরো বলা হয়েছে, গত ৫ আগষ্ট-২০২৪ নতুন বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও ফ্যাসিবাদীদের প্রেতাত্মা এসব দলিল লেখকদের বুকে লালিত হচ্ছে বলে তারা মনে করছেন। এভাবে ফ্যাসিবাদী কায়দায় জিম্মি করে অর্থ আদায় অমানবিক, অসামাজিক, অনৈতিক এবং আইনবিরোধী কাজ বলে সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করছেন। তাই একজন দলিল লেখকের যুক্তিসংগত ন্যায্য পারিশ্রমিক যা হবে তার বাইরে সমিতির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট আবেদন জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকলেছুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান ১৩০ জন দলিল লেখক রয়েছে। প্রতিদিন ১৫/২০টি দলিল রেজিষ্ট্্ির সম্পাদন হয়। অধিকাংশ দলিল লেখক সব দিন কাজ পায় না। আমরা কৃষকের জমি খারিজ করে দেওয়া সহ সব দায়িত্ব নিয়ে রেজিষ্ট্্ির করে দেয় এতে কিছু অর্থ বেশী নিয়ে সমিতির মাধ্যমে সকল দলিল লেখকদের মধ্যে দুএকশত করে ভাগাভাগি করে নেয়। যাতে সবাই চলতে পারে। সেটা অতিরিক্ত পর্যায়ে নয়।
এবিষয়ে সাবরেজিস্ট্রার শাকিল আহমেদ এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান সাংকেতিক চিহ্ন না থাকলে জমি রেজিস্ট্রি হয় না এমন অভিযোগ ঠিক না। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ঠিক থাকলে কোন গ্রাহককে হয়রানীর সুযোগ নেয়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন, আবেদন পেয়েছি। সমিতির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এটা আইনসংগত নয়। এবিষয়ে দ্রæতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।