আবু সাইদ বিশেষ প্রতিনিধ বদলগাছী ঃ নওগাঁর বদলগাছীতে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে কালভাট নির্মান শুরু করেছে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) বিভাগের নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদার। বাইপাস রাস্তা তৈরী না করে বদলগাছী সদর ছেলেকালি কাদিবাড়ি পাকা রাস্তার মাঝ খানে পূর্বের নষ্ট হওয়া ছোট একটি কালভাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর ( এলজিইডি)থেকে কাজ শুরু করেছে। বদলগাছী উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর ( এলজিইডি) সুত্রে জানা যায়, ওই কালভাট নির্মানে প্রাক্কলন ব্যায় ধরা হয় ৭ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্টান নওগাঁ কাকলী এন্টার প্রাইজ ৭.৫ % লেছে প্রায় ৬ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা কন্টাক্টে গত মঙ্গলবার ২৩ এপ্লিল থেকে কালভাট নির্মানের লক্ষে কাজ শুরু করেছেন । কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের বাইপাস রাস্তা নির্মান না করে কালভাটের স্থান পাকা রাস্তা কেটে খনন করছে। আর ওই রাস্তার পূর্ব দিকে কাদিবাড়ি ব্রীজ থেকে সামান্য এসে নুরমোহাম্মদ মাবুল এর দোকানের নিকট একটি বাঁশ বেধে ছোট্র একটি লেমনটিপ যুক্ত কাগজ বাঁশে ঝুলিয়ে দিয়েছে। ওই ছোট্র কাগজে লেখা রয়েছে ব্রিজ নির্মান কাজ চলছে, বিকল্প রাস্তায় চলুন। রাস্তার দুই মাথাই বড় একটি সাইনবোর্ড দেওয়ার নিয়ম থাকলে তাও মানা হয়নি। লেমোনেটিং করা ছোট কাগজে লেখা সকল যানবাহন ও মটরসাইকেল চালকদের নজরে না পরায় রাতের আধাঁরে এপর্যন্ত ৩ জন মটরসাইকেল আরোহি দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভাট নির্মানের লক্ষে পুরুদমে মাটি খনন কাজ চলছে। কিন্তু কালভাট নির্মানের স্থানে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য বাইপাস রাস্তা নির্মান করা হয়নি। ফলে জনসাধারণ ও মটরসাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহন ভ্যানগাড়ি, অটো চার্জার বা ভারি কোন যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়নি। যার ফলে জনসাধারণ ও মটরসাইকেল , সাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন প্রায় ১ কিঃ মিঃ রাস্তা নদীর বাঁধ দিয়ে চলাচল করতে যেমন সময় ও অর্থ দুটই ব্যায়বহুল হয়ে যাচ্ছে। তাই এলাকাবাসী কালভাট নির্মান স্থানে যে কোন পার্শে বাইবাস মাটির রাস্তা তৈরী করে দিয়ে জনসাধারণের দূর্ভোগ কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সুমন কুমার দেবনাথ এর সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাত করা হলে তিনি জানান, কালভাট নির্মান টেন্ডার সিডিউলে হয়তো বাইপাস রাস্তা নির্মানের কোন নির্দেশনা নেই। তার পর ও বিষয়টি নিশ্চিত হতে উক্ত কাজে দায়িত্ব প্রাপ্ত সাব -এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুজন সাহেব এর সাথে যোযোগ করেন। সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুজন রেজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সিডিউলে বাইপাস রাস্তার বরাদ্ধ নেই। জন্য কালভাট নির্মান কালে বাইপাস রাস্তা তৈরী করা হয়নি।
এঘটনায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কাকলী এন্টার প্রাঈজ এর প্রোপাইটরের মোবাইল নম্বর না পাওয়ায় তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।