বন্ধ হচ্ছে না তিন ফসলি কৃষি জমি খনন!! বদলগাছী

বুলবুল আহমেদ, বদলগাছী( নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও অলিতে-গলিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে নিষিদ্ধ ট্রলি ও ট্রাক্টর। উপজেলার ছোট বড় সকল সড়কে সকাল থেকে শুরু করে মধ্য রাত পর্যন্ত বেপরোয়াভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব যানবাহন। লাইসেন্স, সিগনাল লাইট ও হর্ণ ছাড়াই এগুলো রাস্তায় চলাচল করছে। এ সুযোগে অনেক অদক্ষ ও কিশোর বয়সের ছেলেরা চালাচ্ছে এসব গাড়ি। যার ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনাসহ রাস্তায় যানজট, কালো ধোঁয়া ও শব্দ দূষণ হচ্ছে। এছাড়াও এসব যানবাহনের কারণে গ্রামগঞ্জের কাঁচা-পাকা রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালনার কারণে যানজটের পাশাপাশি প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। ট্রাক্টর শুধুমাত্র চাষাবাদের জন্য বৈধ থাকলেও এখন অবৈধভাবে পণ্য পরিবহন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বল্প খরচে ভারী কাজ করানোর জন্য মাটি খেকুরা এসব যান ব্যবহার করেন। সরেজমিনে বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর মথুরাপুর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর ইউনিয়নে বুড়িগঞ্জ কসবা পচার মোড় ঘুরে দেখা যায়, এসব স্থানে রাস্তার পাশে লাইসেন্স ও অনুমোদনহীন অনেক ট্রাক বালু, ইট হরহামশায় চলাচল করছে। তিন ফজলি কৃষিজমি চিরুনি পরিবর্তন না করে জমির মাটি বিক্রির একটি মহল তৈরি হয়েছে। নিষিদ্ধ ট্রলি ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে ইট, বালু, রড, সিমেন্ট, মাটি ও গাছসহ বিভিন্ন পণ্য অতিরিক্ত বোঝাই করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। আবার কখনোও কৃষি জমির মাটি ও বালি মহাল থেকে পলি বালু নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে। যদিও এসব যানবাহন রাস্তায় পরিবহনের কোন সুযোগ নেই। অনেক ট্রাক্টারের মালিক চাষাবাদের পর ট্রাক্টারে অতিরিক্ত বডি লাগিয়ে অবৈধ ভাবে রাস্তায় নেমে আসে। ইট, সিমেন্ট, বালু, মাটি পরিবহন করে। আর লোকজন টাকা বাঁচানোর জন্য ট্রলি ও ট্রাক্টর ভাড়া করে। এতে পরিবহনে অনুমদিত গাড়িগুলো লোকেসানে পরছে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না করার কারণে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। উপজেলার বুড়িগঞ্জ বাজারের আব্বাস হোসেন বলেন, ট্রলি ও ট্রাক্টর যখন পচার মোড় ও বুড়িগঞ্জ বাজার অতিক্রম করি, তখন প্রায়ই বাজারে যানজট সৃষ্টি হয়। স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় যখন এসব গাড়ি রাস্তায় চলে তখন স্কুলের বাচ্চারা রাস্তা পারাপারের সময় অনেক ভয় পায়। ট্রাক্টার চালক পঁচার মোড়ের ট্রলি চালক মোঃ রকি বলেন, ‘আমরা বেকার ও গরিব মানুষ, গাড়ি চালনার প্রশিক্ষণ নেই, শিখে নিয়েছি। গাড়ি বৈধ-অবৈধ বুঝি না। আমরা রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে পরিবার চালাই।’ সচেতন মহল মনেকরেন এসব নিষিদ্ধ গাড়ি নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন। নাহয় দিনদিন এসব যানবাহনের প্রভাবে বড়ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.