বাউফলে ফজরের নামাজের পরে বাড়ি ফেরার পথে কুপিয়ে জখম!

সানাউল হক (বাউফল-পটুয়াখালী) : পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নে মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক (৪১) নামে এক শিক্ষককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে আহত শিক্ষককে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আবু বক্কর ছিদ্দিক কালিশুরী হাওলাদার কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক ও শিক্ষক। তিনি কালিশুরী এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাদেরের ছেলে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কালিশুরী বন্দর এলাকার মোকলেস সিকদারের সঙ্গে তার আপন বড় ভাই মজিবুর রহমানের বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে মজিবুর রহমানের একটি হাফেজি মাদরাসা বন্ধ হয়ে যায়।

ওই বাড়ির সামনে মজিবুর রহমানের নির্মিত জামে মসজিদে তার (মজিবুর) সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে এমন ব্যক্তিরা নামাজ পড়তে গেলে মোকলেস অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। সম্প্রতি প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক মো. আবদুর কাদের (৬৫) ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের ওই মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করেন।

পরে বুধবার ভোরে আবদুর কাদের তার দুই ছেলে আল মামুন (৩৫) ও আবু বক্কর ছিদ্দিক (৪১) ওই মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ তারা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ৫টার দিকে মসজিদের অদূরে পুকুরঘাট এলাকায় পৌঁছালে মোকলেস সিকদার (৪৫) ধারালো অস্ত্র নিয়ে আবু বক্করের ওপর হামলা চালান।

এ সময় তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবু বক্করকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে মোকলেস সিকদার বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে তারা (আবদুল কাদের ও তার দুই ছেলে) তাকে কিল-ঘুষি মেরেছে। আত্মরক্ষা করতে গিয়ে তিনি (মোকলেস) চাকু দিয়ে আঘাত করেছেন।

বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.