সানাউল হক (বাউফল-পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর বাউফলে এ প্রতিবেশীকে দাওয়াত না দেওয়ায় বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় অতিথিদের জন্য তৈরি খাবার লুটপাট করে নেওয়া হয়েছে। সোমবার উপজেলার বগা ইউনিয়নের কৌখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে কৌখালী গ্রামের মোশারেফ নায়েবের মেয়ে সানিয়ার সঙ্গে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের রাজ্জাক খানের ছেলে নাসিমের বিয়ে হয়। সোমবার বরযাত্রী আসেন কনের বাড়িতে। মেয়ের বিয়েতে প্রায় আড়াইশ অতিথির জন্য কনে সানিয়ার বাবা মোশারেফ মাংস, কোরমা, ডাল, সবজি, ভাত ও ফিরনি রান্না করেন।
এদিকে মোশারেফের প্রতিবেশী কুদ্দুস মিয়া ও তার পরিবারকে বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। বরযাত্রী আসার আগ মুহূর্তে কুদ্দুস মিয়া ৬-৭ জন সহযোগী নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে প্যান্ডেল, তোরণ ও চেয়ার ভাঙচুর করেন। এ সময় প্রায় আড়াইশ অতিথির জন্য রান্না করা খাবার লুট করে নেন তারা।
হামলার সময় বাঁধা দেয়ায় হামলাকারীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে ৫ জনকে জখম করেন। আহতরা হলেন- মন্নান মল্লিক (৮০), রুবেল (২৫), বজলু মল্লিক (৪৫), হৃদয় (১৫) ও কনে সানিয়ার মা অজুফা বেগম (৪০)। তাদের পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সালাম হাওলাদার বলেন, ঘটনার পর বরযাত্রী এসে কোনো খাবার না পেয়ে কেবল কনে নিয়ে চলে যান। আমরা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় লজ্জিত। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বগা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নিজাম হাওলাদার বলেন, কুদ্দুস গং প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এ কাজটি করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কুদ্দুস মিয়া বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমরা জড়িত নই। বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, অভিযোগ পাইনি, পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।