নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান : বান্দরবানের সৎ কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা , অর্থ অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন শিশু ও নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত।
বুধবার (২৭ মার্চ)বান্দরবানের জেলা ও দায়রা জজ জেবুন্নাহার আয়শা এই দন্ডাদেশ দেন।
আদালতের প্রাথমিক তথ্য মতে, এজাহার ও চার্জশীট পর্যালোচনায় জানা যায়, আসামী আপুইমং (৬৫) আনুমানিক ১২ বছর আগে বাদী মেসাচিং ( ৫৪)কে বিবাহ করেন। বিবাহের সময়ে ভূক্তাভোগীর তিন বছরের শিশু তাঁর মাযের সাথে আসামির বাড়িতে চলে আসে।
ভুক্তাভোগী এক প্রকার আসামির বাড়িতে লালিত পালিত এবং আসামীকেই নিজের বাবা হিসেবে চিনে।
আসামী সৎ পিতা ২০২০ সালে ১৫ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগী ( ১৫)কে ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভূক্তভোগী গর্ভবতী হয়ে তাঁর আপন ভাই হ্লা মং সিং বাড়িতে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে।
পরবর্তীতে এ ঘটনা জানাজানি হলে ভুক্তভোগীর মা আসামীর স্ত্রী মেসাচিং মার্মা মামলাটি দায়ের করেন।
বান্দরবানের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল আদালতে যাহা নারী ও শিশু মামলা নং ১৯/২২ এ একমাত্র আসামী আপুইমং ( ৬৫ )।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট বাসিংথুয়াই মারমা।
তিনি জানান, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১০ জন স্বাক্ষী স্বাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপন করেন।
আদালত মামলার সকল কাগজপত্র, স্বাক্ষী, বাদী ও ভুক্তভোগী সকলের বক্তব্য শ্রবনক্রমে বিচারক, বান্দরবান জেলার উপজেলায় রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের অংগ্য পাড়ার বাসিন্দা প্রয়াত সাপ্রুঅং মার্মার সন্তান আসামী আপুইমং মার্মা( ৬৫)’কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একলক্ষ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন।