নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ৭ই ফেব্রুয়ারী, রুমা বান্দরবানের থানচি ও রুমা দুই উপজেলা সীমান্তে রেমাক্রিপ্রাংসা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে দোলাচান ম্রো ও তামলৌ বম পাড়া মাঝ খানে গহীন অরন্যে থানচি লিটক্রে নতুন নির্মানাধীন সড়কে ২৪ কিলোমিটার এলাকায় নতুন ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় র্যাবের সাথে কুকি-চিন ও জঙ্গি বাহিনীর সাথে গুলি বিনিময় হয়েছে। এসময় ৫ জন জঙ্গিকে আটক করেছে র্যাব। গোলাগুলির ঘটনায় র্যাবের ৮জন সদস্য আহত হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে র্যাবের প্রধান মহা পরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে থানচি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে তমাতুঙ্গি পর্যটন কেন্দ্রে এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং সময় ওই কথা বলেন।
প্রেস ব্রেফিংকালে তিনি আরো জানান, সকালে থানচি ও রুমা এই দুই উপজেলা সীমান্তে রুমা উপজেলা ৩ নং রেমাক্রিপ্রাংসা দোলাচান ম্রো পাড়া এলাকায় অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)। এসময় র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গি ও কুকি-চিনের সদস্যরা। এসময় র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে দুপক্ষের গোলাগুলি শুরু হয়। গোলাগুলি এখনো চলছে। তিনি আরো জানান, র্যাবের অভিযানে এ পর্যন্ত ৪৩জন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও ১৪জন কুকিচিন সংগঠনের সদস্যকে আটক করা হয়েছে এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। এসময় র্যাবের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
র্্যাবের সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয় ১৯ জেলার ৫৫ তরুণ। এ তরুনদের অনেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে নতুন করে কথিত হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে জামাতুল আনসারের হয়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব আস্তানায় হিজরত করা তরুণদের ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেয় একটি পাহাড়ী সন্ত্রাসীদল। নতুন এ জঙ্গি সংগঠনকে প্রশিক্ষণ দেয়া পাহাড়ী সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ)।
বিষয়টি জানার পর গত ১৭অক্টোবর থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূল করতে অভিযানে নামে র্যাব ও সেনাবাহিনী।