বিধিবহির্ভূত বরখাস্ত: প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত

ওবাইদুল হক, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি  ঃ কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলাধীন জলেয়ারমার ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিন কে সাময়িক বরখাস্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বিগত ০১/০৮/২০২৪ ইং তারিখ ১৯৭৯ সালের চাকুরীবিধি, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালা ও এমপিও নীতিমালা লংঘন করে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক ভুক্তভোগী শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়নি এবং আনীত অভিযোগের বিষয়ে কোন তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়নি। তাই বরখাস্তকৃত শিক্ষক প্রতিকার প্রাপ্তির নিমিত্তে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন দাখিল করেন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ভুক্তভোগী শিক্ষকের অভিযোগ আমলে নেয়।  বিগত ০৫/১১/২০২৪ ইং তারিখ উল্লেখিত অধিদপ্তরের অধীনস্থ উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়, কক্সবাজার এর শ্রম পরিদর্শক আহমদ উল্লাহ ও মো: ফজলুর রহমান অভিযোগটি তদন্ত করেন। অভিযোগকারী শিক্ষক মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কাইচার লিটন ও অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি ফরিদুল আলম তদন্ত সংক্রান্ত শুনানীতে উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ বক্তব্য ও প্রামাণ্য নথিপত্র উপস্থাপন করেন।
তদন্তে প্রধান শিক্ষকের অসংগতিপূর্ণ কার্যক্রম প্রমাণিত হয়। মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিন কে ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে নিয়োগ প্রদান করা হয়। কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কাইচার লিটন জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া নথিপত্র সৃজন ও দাখিলের মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষককে বাংলা বিষয়ে এমপিওভূক্ত করেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও এমপিওভূক্তির গড়মিল দেখিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন। প্রধান শিক্ষক ভুক্তভোগীকে সাময়িক বরখাস্তকালীন কোন ধরনের খোরপোষ ভাতা প্রদান করেননি এবং বর্তমানেও প্রদান করছেন না যা ১৯৭৯ সালের চাকুরীবিধির ১৩(২) ধারা, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালার ৫৪(৪) ধারা এবং ২০২১ সালের এমপিও নীতিমালার ১৯ ধারার সুস্পষ্ট লংঘন।
এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে মর্মে তদন্ত কর্মকর্তাদ্বয় উল্লেখ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.