মোঃ মোকাররম হোসাইন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা পরিষদ চত্বরের সাব-রেজিস্ট্রিসহ কয়েকটি ভবনের সামনে বৃষ্টি হলেই জমে পানি। এতে দূর্ভোগ পোহাতে অফিসে আসা লোকজনদের। ভবনেগুলোর সামনে জমে থাকে কাদাপানি। দীর্ঘদিন ধরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে সবার নজরে। অথচ তিন সারিতে প্রশাসনিক ভবনগুলো। দুই ভবনের সামনের রাস্তা পাঁকা। একটিতে কিছুই নেই, তাই স্যাঁতসেঁতে। ফলে একটি ভবনের তিনটি অফিসের সামনের ফাঁকা অংশে মাসের পর মাস জমে রয়েছে পানি। তার ওপর একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি। উপজেলা পরিষদ চত্বরের সাব-রেজিস্ট্রার অফিসসহ বিআরডিবি, যুব উন্নয়ন ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এর সামনে জমে আছে পানি।
এ অফিসগুলোর প্রাঙ্গণে যাতায়াতের রাস্তার বেহাল দশা । অফিসগুলোর সামনে নিদিষ্ট রাস্তা না থাকায় দীর্ঘদিন বৃষ্টির পানি জমে থাকে এসব কার্যালয়ের সামনে। অফিসে কর্মরত ব্যক্তিদের পাশাপাশি এখানে সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের সমস্যায় পড়তে হয়। প্রতি সপ্তাহের বুধবার ও বৃহস্পতিবার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের দলিল হয়। এই দুইদিন সব চেয়ে দূর্ভোগ বেশী পোহাতে হয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষদের। গেটের প্রবেশমুখে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় সব সময় কাদা জমে থাকে। এতে নাগরিকসহ অফিসের কর্মরতদের নিত্য দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্ট্যাম্প ভেন্ডার ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সুজাউল ইসলাম জানান, সদিচ্ছা থাকলে এমন পরিস্থিতি একদিনেই ঠিক করা যায়। সেটাই কারও মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। এখানে যেতে চাইলে দুর্ভোগ পোহাতেই হয়। আজ বৃষ্টি হয়েছে বলে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা নয়, আগে থেকেই এই সমস্যা। সারা বছর পানি জমে থাকে এখানে।
স্ট্যাম্প ভেন্ডার সুজন জানান, একটু বৃষ্টি হলেই এ মাঠে হাটু পানি জমে থাকে। আর একারনে অনেকে দলিল করতে আসতে চায়না যার ফলে ওই সময়ে স্ট্যাম্প বিক্রি কম হয়।
কালাই চালকল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক হুমায়ন কবির তালুকদার জানান, সেবা নিতে আসা মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে করে অনেক মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার সামিউল ইসলাম জানান, কার্যালয়ের সামনে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনসহ জায়গাটির সৌন্দর্য বর্ধনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাত আরা তিথি জানান, তিনি উপজেলা পরিষদ চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সব সময় সজাগ রয়েছেন। আবারও উদ্যোগ নেওয়া হবে। সড়কের ব্যাপারে আগামী মাসিক সভায় উত্থাপনের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, উপজেলা পরিষদ চত্বরে যাতে করে পানি জমে না থাকে, সে জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে।