বেনাপোলে স্বর্ণ চোরাচালানের একক আধিপত্য বিস্তার । চোরাচালান ব্যবসার সুবাদে কয়েকটি আলিশান বাড়ি সহ অনেক বিত্ত বৈভবের মালিক পুটখালীর জিয়া

নিজেস্ব রিপোর্টারঃ বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে আবারও স্বর্ণ চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। বড় বড় কিছু স্বর্ণ চোরাচালানী ও তাদের দেখা শুনার দায়িত্বে থাকা  রাঘব বোয়াল আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর পলাতাপ থাকায়  চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দ্বীতিয় সারির কিছু চোরাচালানি। এদের মধ্যে অন্যতম বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের সহিদ এর ছেলে জিয়াউর রহমান। স্বর্ণ চোরাকারবারি জিয়া বেনাপোলে ২ টি পাঁচতলা বাড়ি, পুটখালী আলীশান বাড়ি, যশোর বাড়ি ও  একটি মিল।  এছাড়া সে বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে জমি ক্রয় করেছে। যা তার আয়ের সাথে সামঞ্জস্য নয়।সে পুটখালী, ভুলোট হরিষচন্দ্রপুর, গাতিপাড়া, দৌলতপুর দিয়ে একক ভাবে স্বর্ণ পাচার করছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। এসব স্বর্ণ পাচার এর ব্যবসায়  তাদের নিজ আত্নীয়র মধ্যে স্বর্ণ আত্নসাৎ নিয়ে ও চলছে গোলমাল। মাঝে মাঝে তারা জনসম্মুখে স্বর্ণ আত্নসাৎ নিয়ে গোলমাল করে থাকে বলে একাধিক গুঞ্জন রয়েয়েছে।

স্বর্ণ চোরাচালানী জিয়া পুটখালী গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে। অভাব অনটনের জন্য ছোট বেলায় স্কুলে যেতে পারেনি। পিতার অভাবের সংসারে জিয়া বেছে নেয় চোরাচালানি ব্যবসা।  বেনাপোল পোর্ট থানার সীমান্ত গ্রাম পুটখালী। এই  গ্রামে তার  জন্ম হওয়ার সুবাদে এ পথে চোরাচালানি ব্যবসা করতে তার সহজ হত। প্রথমে সে ভারত থেকে শাড়ী, থ্রি পিছ লবন চিনি বহন করত। এরপর হেরোইন মদ গাজা তারপর ফেনসিডিল সর্বোশেষ সে চোরাচালানি ব্যবসা অব্যাহত রেখে অনেক বিত্ত বৈভবের মালিক বনে গেছে।

বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় জিয়া একক আধিপত্য বিস্তার করছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে অভিযোগ করেছেন। সে প্রতিদিনি ঢাকা চিটাগাং থেকে স্বর্ণ এনে বেনাপোল ও শার্শার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পাচার করে থাকে। এভাবে সে কয়েকটি আলিশান বাড়ি ও নামে বেনামে জমি ক্রয় করেছে। তিনি বলেন, জিয়া তার এসব অপকর্ম ঢাকতে তার নিজ গ্রাম পুটখালীতে একটি এতিম খানা খুলেছে।

পুটখালী গ্রামের দেবনাথ বলেন  বলেন,জিয়া একজন বড় ধরনের স্বর্ণ পাচার কারী। সে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের স্বর্ণ পাচারের ডন। ঝিনাইদাহ জেলার কয়েকটি সীমান্ত এবং যশোর এর  চৌগাছা , শার্শা, বেনাপোল ও সাতক্ষীরা সদর সহ কলারোয়া থানার কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে স্বর্ণ পাচার করে আঙ্গুল ফুল কলাগাছ বনে গেছে। সে বেনাপোল বাজারে নামে মাত্র স্যানিটারি দোকান দিয়ে বসে আছে। ঢাকা থেকে স্যানেটারি জিনিস পত্রের সাথে তার স্বর্ণ আসে বলে জানা গেছে। আর সুযোগ সুবিধামত সে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পাচার করে তার অধিনস্থ লোক দিয়ে। এ ছাড়া সে ভারত থেকে সু কৌশলে বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় একটি পক্ষের হয়ে বিস্ফোরক ও অস্ত্র আনে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

এ বিষয় জিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে কম বেশী সবাই এসব করত। আমি কম বেশী ভারত সংলগ্ন বাড়ি হওয়ায় করতাম। এখন এসব কাজ আমি করি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.