বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২০১ মেট্রিক টন টিসিবির পেয়াজ আমদানি

মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল যশোর: পেঁয়াজ রপ্তানীতে একদিকে ভারতের শুল্ক বৃদ্ধি,অন্যদিকে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন সংকট,এ দুই কারণে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে রয়েছে। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে “ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র মাধ্যমে সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রথম চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭ ট্রাকে ২০১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি খরচ ৫৫ টাকা পড়লেও অর্ধেক মূল্যের বেশি ভর্তুকি দিয়ে এসব পেঁয়াজ ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে বিক্রি করবে সরকার। দ্রæত যাতে পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় সব ধরনের সহযোগিতা করছে বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপ।

এদিকে, নানান প্রতিবন্ধকতায় পেঁয়াজ আমদানি কমায় দিন দিন দাম বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। তবে, সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানিতে এবার দাম কমবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। গত বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে টিসিবি’র ৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। তখন পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়েছিল ৪০ টাকা’র মধ্যে।

টিসিবি সূত্রে জানা যায় দ্রব্য মূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের কিছুটা স্বস্তি দিতে গত কয়েক বছর ধরে দেশের এক কোটি এক লাখ পরিবারের কাছে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য বিক্রি করে আসছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান “ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)”। খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে প্রত্যেক পরিবারের জন্য ২ কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি চিনি, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৫ কেজি চাল।

বেনাপোল স্থানীয় বাজার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকার কর্তৃক প্রদেয় ফ্যামেলি কার্ডধারী এক সদস্য বলেন, দ্রব্য মূল্যের এই চড়া বাজারে সরকারিভাবে আমদানি পেঁয়াজ কম দামে কিনতে পারবো।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, দ্রæত যাতে টিসিবি’র পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় ২৪ ঘণ্টা বন্দর সচল রেখে কাজ করা হচ্ছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.