ব্যাপক অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্যর মধ্যে দিয়ে চলছে বেনাপোল ¯স্থল বন্দরের পিমা সিকিউরিটির দুর্নীর্তি

মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ বেনাপোল স্থলবন্দরে নিয়োজিত বেসরকারী সিকিউরিটি কোম্পানী পিমার সিকিউরিটি অফিসার মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতি স্বজনপ্রিতী, বেতন থেকে টাকা কর্তন সিকিউরিটি সদস্যদের কথায় কথায় চাকুরী থেকে বরখাস্থ করা সহ নানা অভিযোগ্ উঠেছে। এসকল অনিয়মের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেনাপোল স্থল বন্দরে কর্মরত পিমা সিকিউরিটি সদস্যরা তাদের প্রধান কার্যালয়ে একটি অভিযোগ আবেদন করেছে ।

উক্ত আবেদন  এর মারফত সিকিউরিটি কোম্পানির সাধারন সদস্যরা প্রধান কার্যালয়ে জানায়, মনির হোসেন প্রতিমাসে আমাদের বেতন থেকে ৫০০ টাকা কর্তন করে। এর আগে গত আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর ২০২৩  মাসের বেতন থেকে তিনি (দুই মাস) ৪৫০০ টাকা এবং অক্টোবর মাসের বেতন থেকে ১৫০০ টাকা কর্তন করেন। এছাড়া কোন সদস্যর একটু খুদ ধরতে পারলে তার নিকট থেকে ঘুষ বাদব টাকা নতুবা নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়ার নামে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে চাকুরী দেন। তবে এসব টাকা পয়সা নেওয়ার কথা তিনি কাউকে বলতে নিশেধ করেন। কেউ যদি এসব বিষয় জানতে পারে তবে তাকে চাকুরীতে রাখা হবে না বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন। আর এসব কাজের ও খাতাপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তার সহকারী ইকরামুল নামে এক পিমা সদস্য।

আবেদন সুত্র মারফত আরো জানায় যায় মনির হোসেন গত আগষ্ট ২০২৩ থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত মোট ১০,৩২০০০ টাকা সিকিউরিটি সদস্যদের বেতন থেকে কর্তন করেছেন। এছাড়া পোশাক এর জন্য ৫০০ টাকা ও জুতার জন্য ৩০০ টাকা করে তিনি নিয়ে থাকেন। এছাড়া স্থল বন্দরের গেটের সদস্যদের গাড়ি থেকে টাকা নেওয়া নিশেধ করেন। এর বদলে তিনি সেখানে আনসার ও পিমার সদস্যরা যৌথ ভাবে দায়িত্ব পালন করে বলে আনসার সদস্যদের টাকা নিতে বলেন। এবং প্রতি সপ্তাহে তিনি ্আনসার ক্যাম্পে গিয়ে নিজে উক্ত টাকার ভাগ নেন বলে আবেদনে উল্লেখ আছে। এছাড়া মনির হোসেনের কিছু বিশ্বস্থ সিকিউরিটি গার্ড  সোহান, মাহবুবকে সকালে বেনাপোল চেকপোষ্ট আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালে এবং বিকালে ইমরান ও রানাকে সেখানে ডিউটিতে রাখে। এখানে নানা কৌশলে পাসপোর্ট যাত্রীদের নিকট থেক বকশিস এর কথা এবং ভারত থেকে আনা যাত্রীদের  পণ্য পার করে দেওয়ার কথা বলে অর্থ আদায় করে থাকে।

অভিযোগপত্রে আরো জানাযায় সিও মনির হোসেন এর কিছু আত্নীয় স্বজন বেনাপোল স্থল বন্দরে সিকিউরিটির কাজ করে। তারা এখানে দাপটের সাথে যাত্রী টার্মিনালে কাজ করে। আর মনির সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে থেকে তাদের কাজ এবং অর্থ উত্তোলন পর্যবেক্ষন করেন। এরপর সন্ধ্যার সময় ডিউটি শেষে তা ভাগবাটোয়ারা হয়। স্থল বন্দরের মসজিদের মোয়াজ্জেম সোহাগ হোসেন ও ইমাম আহসান ও এই কোম্পানি থেকে বেতন উত্তোলন করেন। এছাড়া পিমা সিকিউরিটির হোহেল, সোহাগ, মিনার সোলাইমান এদের কোন পিমা সিকিউরিটির কার্ড নাই এরা ফিঙ্গারও দেয় না। অথচ মাসের পর মাস এরা বেতন উত্তোলন করে। এসকল কাজের সহায়তা করে মনির নিজে ও ইকরামুল। অফিসের খাতাপত্র সে ইকরামুলকে দিয়ে ঠিক করে। অন্য কোন সুপারভাইজারকে সে কোন খাতা পত্র দেখতে দেয় না। এ ভাবে অনিয়ম দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে চলছে পিমা কোম্পানির স্থল বন্দরে কর্ম।

বেনাপোল স্থল বন্দরে কর্মরত সিও মনির এর নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা সত্য নয়। এটা বিভ্রান্তী মুলক তথ্য পাচার করেছে যে সকল সিকিউরিটির অনিয়মের কারনে চাকুরী নাই। আমি স্থল বন্দরের কোথাও কারও নিকট থেকে কোন টাকা পয়সা উত্তোলন করি না।  তবে স্থলবন্দরের দায়িত্বে পিমার ঢাকাস্থ অফিসের ম্যানেজার মুহিত বলেন যে সকল অভিযোগ বলছেন এর সকলটা সত্য নয়। এর কিছু অংশ সমস্যা আছে আমরা বিষয়টি দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.